আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা; আসামীরা ঘুরছে প্রকাশ্যে

স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের গোড়াই-সখীপুর-ঢাকা রোডে সিএনজি স্টেশন দখল ও চাঁদা উত্তোলন এবং ফ্লাই ওভার ব্রিজের নিচে অবৈধ দোকানপাট থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের হাটুভাঙ্গা এলাকায় এক রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনার পর দুই গ্রুপই একে অপরকে দায়ী করে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন। চাঁদার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রবিবার (৭ জুলাই) মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের হাটুভাঙ্গা রোডে দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গোড়াই শিল্পাঞ্চলের গোড়াই-সখীপুর-ঢাকা রোডে ১৫০ টির মত সিএনজি চলাচল করে আসছে। সিএনজিগুলো, বাঁশতৈল, তক্তারচাল, সখীপুর, গারোবাজার, নলুয়া, সাগরদিঘি, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন রোডে চলাচল করছে। সিএনজি স্টেশন দখল ও চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে চাঁদার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মীর আসিফ অনিক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর পুত্র মীর মইন হোসেন রাজিবের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
এ নিয়ে ইতিপুর্বে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। সিএনজির চালক ও যাত্রীগন অভিযোগ করেন, শ্রমিক সংগঠনের নামে গোড়াই-সখীপুর-ঢাকা রোডের ১৫০ টি সিএনজি থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হচ্ছে। প্রতিদিন চাঁদা উত্তোলন হয় প্রায় ৭ হাজার ৫০০শ টাকা। এভাবে প্রতি মাসে চাঁদা উঠেছে প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং এবং বছরে চাঁদা উঠেছে প্রায় ২৭ লাখ টাকা এবং গোড়াই ফ্লাই ওভার ব্রিজের নিচ অবৈধ দোকানপাট থেকেও তুলছে দৈনিক ৩০-৪০ হাজার টাকা।জানা যায়, গত সংসদ নির্বাচনের পর এই চাঁদা উত্তোলন করছেন এমপির ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিকের লোকজন।এলাকার সাধারণ মানুষ ওদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে।কারন সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে যাচ্ছে ওদের পকেটে।

এই ঘটনায় আহতরা হলেন অভি,বাহার,নাজিম,মীর রাহীব,নাইস সহ ১০ জন।ঘটনায় রাকিব সিদ্দিকী নামে এক ব্যাক্তি বাদী হয়ে স্থানীয় এমপির ব্যাক্তগত সহকারি মীর আসিফ অনিক সহ মোট ২০ জনকে বিবাদী করে মামলা করেছেন।আরোও ২০-২৫ জন রয়েছেন অজ্ঞাত আসামী।তাদের নামে মামলা হলেও এমপির ক্ষমতা দেখিয়ে তারা প্রকাশ্যেই ঘুরছে এবং মিছিল মিটিংও চালিয়ে যাচ্ছে তারা।এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ জনতা ও মামলার বাদী রাকিব।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এটিএম জহিরুল ইসলামকে বারবার ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করে নাই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!