সকালবিডি স্পোর্টস টোয়েন্টিফোর ডটকম: আগামী সপ্তাহে লন্ডনে অনুষ্ঠিত লেভার কাপেই শেষবার দেখা যাবে রজার ফেদেরারকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লম্বা টুইট করে ফেদেরার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি টেনিসকে বিদায় বলছেন। অবসরের ঘোষণা দেন সুইস কিংবদন্তি।
কুড়িটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক বিগত ২৪ বছরে ১৫০০-এর ওপর ম্যাচ খেলার পর কোর্ট ছাড়ছেন।
এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল ঠিক যে পাঁচ কারণে রজার ফেদেরার আজীবন টেনিসের সুপারম্যান হয়েই থাকবেন।
ফেদেরারের অবসরের সঙ্গেই টেনিসের এক যুগের অবসান হচ্ছে। ৬টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ১টি ফরাসি ওপেন, ৮টি উইম্বলনডন ও ৫টি যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের কথা ফেদেরারের বায়োডেটাতে লেখা থাকবে। তবে লেখা থাকবে না যেটা, সেটা হল, ফেদেরার টেনিস খেলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন শত শত খেলোয়াড়কে।
তাকে দেখেই ব়্যাকেট ধরেছেন অনেকে।
১. পুরুষদের টেনিসে ফেদেরার দীর্ঘ সময় ধরে সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ছিলেন। তার আইডল ছিলেন টেনিস কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাস। ফেদেরারের আগে সাম্প্রাসের ঝুলিতে ছিল ১৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম।
মনে করা হত এই রেকর্ড ভাঙা যাবে না। তবে ফেদেরার সব ভুল ভেঙে ইতিহাস লিখেছেন।
২. ফেডেরার টানা ২৩বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলার পাশাপাশি ৩৬ বার কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলেছেন, যা চমকপ্রদ বললেও কম বলা হবে। ফেদেরার ১০৩টি এটিপি সিঙ্গেল খেতাব জিতেছেন। ২৮টি এটিপি মাস্টার্সও রয়েছে তার ঝুলিতে।
ছ’বার এটিপি ফাইনালে খেলেছেন তিনি। এটিপি ট্যুরে ১৫২৬টি ম্যাচে তার ১২৫১-২৭৫ (৮২%) সিঙ্গেলস রেকর্ড।
৩. ২০০৩ সালে ফেদেরার প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম (উইম্বলনডন) জেতেন ২১ বছর বয়সে। এর ১৪ মাস পর সুইস রাজপুত্র নিজেরে একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে ফেলেন টেনিসের দুনিয়ায়। ২০০৪-০৭, ফেদেরার ছিলেন ফর্মের শীর্ষে। ২৪৭-১৫ (৯৪%) রেকর্ড। বুঝিয়ে দেয় পুরুষদের টেনিসে ‘গ্রেটনেস’ শব্দের তাৎপর্য।
৪. ফেদেরার ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সে পুরুষদের ডাবলসেও নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন। স্ট্যানিসস্লাস ওয়ারিঙ্কার সঙ্গে জুটি বেঁধে সোনা জিতেছিলেন। ফেদেরার টানা ৩১০ সপ্তাহ টেনিসের ক্রমতালিকায় ছিলেন এক নম্বরে।
৫. আটবার (২০০৩-০৭, ২০০৯, ২০১২, ২০১৭) উইম্বলডন খেতাব জয়ের বিরল নজিরও রয়েছে ফেদেরারের বায়োডেটায়। ফেদেরারই একমাত্র প্লেয়ার যিনি ক্লে, গ্রাস ও হার্ড কোর্টের প্রতিটি বিভাগে ১০টি করে খেতাব জিতেছেন। বলাই বাহুল্য, প্রথম প্লেয়ার হিসেবে ২০১৮ সালে ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম স্পর্শ করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার