সকালবিডি স্পোর্টস টোয়েন্টিফোর ডটকম: ১৯৮৬ বিশ্বকাপের যে ম্যাচটিতে ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের জন্ম, সেই ম্যাচে ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’ও দেখেছিল ফুটবল–বিশ্ব। তবে ৪ মিনিটের ব্যবধানে হওয়া গোল দুটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয় ‘হ্যান্ড অব গড’ নিয়ে। বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে হাত দিয়ে গোল করার দৃশ্যটি যে এখনো বিস্ময় জাগায়। দিয়েগো ম্যারাডোনার সেই ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বল নিয়েও তাই কৌতূহলের শেষ নেই। যার সর্বশেষ নজির দেখা গেল নিলামে ওঠা উচ্চমূল্যে।
‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের জন্ম হওয়া আর্জেন্টিনা–ইংল্যান্ড ম্যাচটির রেফারি ছিলেন আলী বেননাসের। বলটি এত দিন তাঁর কাছেই ছিল। গতকাল লন্ডনে নিলামে তোলা হয় এটি। সেই নিলামে ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের বলটির দাম ওঠে ২৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ কোটি টাকার বেশি।
নিলাম অনুষ্ঠান শুরুর আগে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি নিয়ে কথা বলেন বেননাসের। কেন সেদিন হ্যান্ডবল না দিয়ে গোলের বাঁশি বাজিয়েছিলেন, সেই ব্যখ্যায় তিউনিসিয়ান এ রেফারি বলেন, ‘তখন ইংল্যান্ডের কয়েকজন ফুটবলার সামনে থাকায় আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না। ভালোভাবে দেখার অবস্থায় ছিল লাইন্সম্যান ডোতচেভ।
বল জালে ঢোকার পর আমি ওর দিকে তাকিয়েছিলাম। কিন্তু গোল বাতিলের কোনো নির্দেশনা সে দেয়নি।’ ম্যাচের শেষে ইংল্যান্ড কোচ ববি রবসন বেননাসেরকে দায়মুক্তি দিয়েছেন জানিয়ে ৭৮ বছর বয়সী এই রেফারি বলেন, ‘ববি বলেছিলেন, তুমি ভালোভাবেই ম্যাচ পরিচালনা করেছ। দায়টা লাইন্সম্যানের।’
হ্যান্ড অব গড গোলের কিছুক্ষণ পর আরেকটি গোল করেন ম্যারাডোনা, যা ২০০২ সালে বিংশ শতাব্দীর সেরা গোলের স্বীকৃতি পায়। ম্যারাডোনার ওই দুই গোলের সুবাদে আর্জেন্টিনা সেদিন ২–১ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে ওঠে। শেষ পর্যন্ত জার্মানিকে হারিয়ে ট্রফিও হাতে তোলে।
বহুল আলোচিত সেই ম্যাচের বলের তুলনায় ম্যারাডোনার জার্সি অবশ্য অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। এ বছরের মে মাসে নিলামে ৯২ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল জার্সিটি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮০ কোটি টাকার বেশি ছিল।