সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে মাওলানা মামুনুল হকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হেফাজত নেতাকর্মিদের হামলায় সোনারগাঁ রয়েল রির্সোট, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর, পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের দায়ের করা ৭টি মামলায় আসামি করা হয় কয়েকশত রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গকে।
হেফাজত কান্ডের ঘটনার মামলায় আসামি হয়েছেন “আমরা সেচ্চাসেবী করোনা যোদ্ধা” সংগঠনের উপজেলা টিমলিডার সানাউল্লাহ বেপারী।
উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ২০০/২৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই দায়েরকৃত মামলায় ১০৬ নাম্বার আসামী দেখা যায় করোনা যোদ্ধা সানাউল্লাহ বেপারীকে। সানাউল্লাহ বেপারী সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
সানাউল্লাহ বেপারী সকালবিডি টুয়েন্টিফোরকে বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে আমি আইসোলেসনে আছি হেফাজত কান্ডেরও কয়েকদিন আগে থেকে। অসুস্থ অবস্থায় আইসোলেশনে থেকেও আমি কিভাবে ভাঙচুর মামলার আসামি হই।
তিনি আরো বলেছেন একটি কুচক্রী মহল আমাদের সেচ্ছাসেবী কাজ দেখে ইর্ষান্বিত হয়ে আমাকে মামলার আসামী করেছে।
এদিকে সানাউল্লাহকে মামলার আসামি করায় সোনারগাঁয়ের সেচ্ছাসেবী মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। সাধারন সেচ্ছাসেবকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাচ্ছেন নিন্দা ও প্রতিবাদ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে দেখা দেয়। তারপর থেকে টানা কয়েক মাস লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়ে যায়। গরীব অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণে কাজ করেছিল ‘আমরা স্বেচ্ছাসেবী করোনাযোদ্ধা’ সংগঠনটি।
মুলত করোনা পরিস্থিতিতে করোনার উপসর্গ নিয়ে কিংবা করোনায় আক্রান্ত হয়ে যখন কেউ মারা যায় তখন তার পরিবার আত্মীয়স্বজনও লাশ দাফনে এগিয়ে আসছিল না। ঠিক সেই সময় এসব করোনায় আক্রান্ত ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত লাশগুলোর দাফনে এগিয়ে আসে ‘আমরা স্বেচ্ছাসেবী করোনাযোদ্ধা’। ইতিমধ্যে ৪০টি লাশ দাফন করেছে এই টিম। যার নেতৃত্বে ছিলো করোনায় সম্মুখযোদ্ধা সানাউল্লাহ বেপারী।