সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ প্রতিটি মানুষই কমবেশি গোনাহ করে থাকেন, একমাত্র ব্যতিক্রম নবী-রাসুলরা। বান্দা যখন গোনাহ করার পর আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে গভীর রাতে বেদনা ভরা হৃদয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমার হাত তোলে, তখন আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের সামনে ওই বান্দাকে নিয়ে গর্ব করেন এবং তাকে ক্ষমার কোলে জড়িয়ে নেন।
গোনাহ করাটা মানুষের জন্য খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। গোনাহ যত বড়ই হোক না কেনো, তা স্বাভাবিক। কিন্তু গোনাহ করে কেউ যদি ক্ষমাপ্রার্থী না হয়ে অহংকারী হয়ে ওঠে কিংবা প্রকাশ্যে গোনাহের কথা প্রচার করে বেড়াতে থাকে, তখন তা সীমালঙ্ঘন হয়ে যায়। এ ধরনের অহংকারী বান্দাহকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
গোনাহ করে ফেললে যে বান্দা ক্ষমা চায়, গোনাহর কথা লুকিয়ে রাখে, তার ভেতর এক ধরনে অপরাধবোধ এবং মহান আল্লাহর প্রতি বিনয়ভাব কাজ করে। এ জন্য হযরত আলী (রা.) বলতেন, সারারাত তাহাজ্জুদ পড়ে সকালে অহংকার করার চেয়ে রাতভর ঘুমিয়ে সকালে ক্ষমা প্রার্থনা করা অনেক ভালো।
বুখারি শরিফের হাদিসে এসেছে রাসুল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন একদল গোনাহগার বান্দাহকে আল্লাহ ডাক দেবেন। তখন বান্দা এবং আল্লাহ এক বিশেষ পর্দার আড়ালে চলে যাবেন। আল্লাহ বলবেন বান্দা! তুমি কি এই গোনাহ করেছো? বান্দা বলবেন, নফসের তাড়নায় করে ফেলেছি হে আল্লাহ। আল্লাহ আবার জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এই গোনাহও করেছো? এভাবে তার জীবনের সব গোনাহ ধরে ধরে আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন আর বান্দা সব গোনাহর স্বীকৃতি দেবেন।
একটা সময় আল্লাহ বলবেন, তোমার এতসব গোনাহ শুধু আমি জানি। অন্য কোনো মানুষকে তুমি জানতে দাওনি। সুতরাং আমি তোমার গোনাহ ক্ষমা করে দিলাম। বুখারি, হাদিস নম্বর ২৪৪১।
এ হাদিসের আলোকে ফকিহরা ফতোয়া দিয়েছেন, যে গোনাহ কেউ দেখেনি, সে গোনাহ মানুুষকে জানানো নিষেধ। এমন গোনাহর জন্য আল্লাহর কাছে গোপানে ক্ষমা চাইতে হবে। আশা করা যায়, গোপনেই তিনি ক্ষমা করে দেবেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার