সকালবিডি টুয়েন্টিফর ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুল ওরফে চুম্মা বাবুল স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার ডিওলেটার নকল করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়ে বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি হয়েছেন।
এ ব্যাপারে বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের নির্বাচিত
দাতা সদস্য মোঃ সাঈদ সরকার বাদী হয়ে বিজ্ঞ
সিনিয়র সহকারী জজ সোনারগাঁ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৪৫৮/২২ তারিখ ৮/১১/২০২২ ইং দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ১৯০০ সালে বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে। পরে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড নীতি মালা ২০০৯ এর ২৩(১) বিধি অনুসারে প্রিজাইডিং অফিসার সকল প্রার্থী কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। প্রিজাইডিং অফিসার বাদী মোঃ সাইদ সরকারকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
বারদী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মোস্তফা জহিরুল হক,মসিউর রহমান, মোঃ ফারুক সরকার নাম সহ নির্বাচনী ফলাফল বোর্ডে প্রেরন করেন এদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি মনোনীত করার জন্য।
বারদী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল সোনারগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার ডিও লেটার নকল করে বোর্ডে প্রেরন করে নিজে সভাপতি হন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা মুঠোফোনে আজকের সংবাদ ডটকম প্রতিনিধিকে বলেন, অধ্যক্ষ যে তিনজনের নাম বোর্ডে প্রেরন করেছে সে বিষয়ে অবগতি আছি। কিন্তু বাবুল আমার ডিওলেটার ও স্বাক্ষর জাল করে বোর্ডে পাঠিয়েছে বলে শুনেছি। আমি স্কুলের কোন ডিওলেটারে স্বাক্ষর করিনি।
মোঃ সাঈদ সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড, মোঃ জাহিদুল ইসলাম মুক্তা,সহকারী ছিলেন এড আবু রায়হান।
এ বিষয়ে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুল এর মুঠোফোনে ফোন করা হলে তার পিএস পরিচয় দিয়ে রিসিভ করে বলেন স্যার একটু কাজে ব্যস্ত আমি তার কাছে ফোনটি দিচ্ছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।