ছোট ভাইয়ের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় জামিন পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। .
মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ন্যান্সির জামিন মঞ্জুর করেন।
একইসঙ্গে মামলার অপর আসামি ন্যান্সির স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদেরও জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিন মামলার আসামি ন্যান্সি ও জায়েদ উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী মাসুদ শেখের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জামিন পেয়ে কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি আমাদের জানান, এ বিজয় আমার না, এ বিজয় সকল নারীর। নির্যাতনের নামে যারা স্বামীদেরকে হেরেজ করে, ব্লেম করে তাদের দ্বারা আর যাই হোক সংসার হয় না।
তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রী এক ছাদের নিচে থাকলে সংসারে মান-অভিমান, মনোমালিন্য হয় কিন্তু যে নারী এতটা নিচে নামতে পারে তার সঙ্গে কখনো সংসার হয় না।
ন্যান্সি বলেন, আজকে যে মামলায় আমাকে আদালত পর্যন্ত আসতে হয়েছে সেই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ মামলায় আদালত জামিন দিয়ে প্রমাণ করেছেন আসলে সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী।
মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ মামলায় জামিন হওয়ায় ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। তাদের মুখ ছোট হয়ে গেছে। তাদের কাছে মূল আকর্ষণ ছিলাম আমি, তারা আমাকে যে কোনো মূল্যে কারাগারে পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আল আমিন হোসেন বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ন্যান্সির ভাই সানির তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সামিউন নাহার শানু নেত্রকোনা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় সানির পাশাপাশি ন্যান্সি ও তার স্বামী জায়েদকে আসামি করা হয়। পরে ওইদিন রাতেই সানিকে নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে ১৫ সেপ্টেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন শানু’র ভাই সোহাগ আহমেদ। জিডিতে তিনি ন্যান্সি ও জায়েদের বিরুদ্ধে শানুসহ পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ তোলেন।
মামলার বাদী শানু বলেন, আইনানুযায়ী আসামিরা জামিন পেয়েছেন। কিন্তু আশা করব, আমিও যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হই।
চীফ রিপোর্টার তানজির আহম্মেদ সানি তপদার