জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ভাড়াটিয়া বাহীনি দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা
আল জাবির
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বড় নারায়নপুরে ভাড়াটিয়া বাহীনি দিয়ে ফিল্মী স্টাইলে জমি দখলের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। গত কাল বুধবার সকালে ২৫/৩০ জন দুর্বৃত্ত লাঠি সোটা ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বিবাদমান জমিতে প্রবেশ করে। এসময় তারা জমিতে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতীর অর্ধ শতাধীক গাছ কেটে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে বাদীকে লাঞ্চিত ও গোসল খানার টিনের চালা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মন্টু মিয়া ২০ জনের নামে গতকাল বুধবার থানায় একটি অভিযোগ করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুর্বৃত্তরা পুনরায় ওই জমিতে গাছ কর্তন করে।
জানাগেছে,বড় নারায়নপুর মৌজায় ৪৩ শতাংশ জমি বাদী মন্টু মিয়া ও তার খালা খুকি বেওয়া এমআরআর,সিএস ও আরএস মূলে ভোগ দখল করে আসছিল। বিবাদী সাইফুল ইসলাম ও ওয়াসীম আদালতে মামলা করে। বাদী মন্টু মিয়া জানান,২০১২ সালে বিবাদীরা মামলার রায়ে হেরে গিয়ে আপিল করে। ২০১৬ সালে আমরা জর্জ অাদালত থেকে ডিক্রী পাই। এরপর বিবাদী উচ্চ আদালতে মামলা করলে ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
আদালতের নিষেধজ্ঞা অমান্য করে বড় নারায়নপুর গ্রামের ওয়াসীম,সাইফুল ইসলামসহ ২০/২৫ জন দুর্বৃত্ত জমি দখল নিতে যায় ও গাছপালা কর্তন করে। বাধা দিতে গেলে ওয়াসীম,আপেল ও আন্নী বেগম তাদের মারধর ও বসত বাড়ির টিনের চালা ভাংচুর করে।
ভুক্তভোগির ছেলে সবুজ সরকার বলেন,আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দাদীকে ওই জমিতে মাটি দিতে পারি নাই। এখন তারা আইন ভংগ করে জমিতে গিয়ে ছোটবড় অর্ধ শতাধীক গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ দৃশ্য ভিডিও ধারণ করার সময় তারা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় গাছ কর্তনের সময় পুলিশ ২ জনকে হাতে নাতে আটক করে থানায় নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে পাঁচবিবি থানার এএসআই রবীন্দ্রনাথ বলেন,অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে থানায় হাজির করা হয়। বাদী পক্ষ ওই জমির এমআরআর,সিএস ও আরএস দেখিয়েছে। আদালত থেকে তাদের কাছে ডিক্রীও আছে।
বিবাদী মামলায় হেরে যায়। তারা ১৯৪০ সালের নিলাম সূত্রে ওই জমিতে গিয়ে গাছ কর্তন করেছে।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃফরিদ হোসেন বলেন,বাদী কয়েকদিন পূর্বে জমিতে বেড়া দিয়েছে। ঘটনাস্থলে যাব। কাওকে আটক করা হয়নি তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে থানায় আনা হয়েছে।
আল জাবির
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
২৫/১০/১৮
০১৭১৭০৮৭৭০৬
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার