ভাঙ্গুড়ায় ভেজাল ঘি কারখানার সন্ধান- পুড়িয়ে ফেলা হলো ৪০ মণ ঘি
পাবনা প্রতিনিধি : মোঃ সবুজ হোসেনন: পাম ওয়েল ও বাটার ওয়েল একত্রে চুলায় জাল দিয়ে মেশানো হচ্ছে ঘিয়ের ফ্লেবার। এখানে নেই কোন দুধ বা দুধজাত দ্রব্য।
এভাবেই লোক চক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছিল ভেজাল ঘি। পৌর সদরের সরদার পাড়ার নুরুল মাস্টারের বাড়িতে এমন ধরণের কাজ চলছিলো বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর মহল্লার সুলতান শাহের ছেলে শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে এভাবেই ভেজাল ঘি তৈরি করে আসছিল।
যা স্থানীয় হাট বাজার ও পাবনা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হত। ওই বাড়ির প্রধান ফটক থাকতো বন্ধ। অপরিচিতি লোকদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না।
কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই ভেজাল ঘি কারখানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাছুদুর রহমান ভ্রম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ ঘন্টা ধরে শ্বাস রুদ্ধকর অভিযান চালায় ।
ওই সময় ভেজাল ঘি তৈরির মুর্হূতে প্রায় ৪০ মণ ভেজাল ঘিসহ হাতে নাতে ৬ জনকে আটক করেন।
অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মূল হোতা ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগরের সুলতান শাহের ছেলে শহিদুল পালিয়ে যায়।
অভিযানে সহযোগিতা করেছেন ভাঙ্গুড়া থানার এসআই সাজেদুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।
আটকৃতরা হলেন পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর থানার বাসিন্দা মিলন (৩৮), বিস্ট আলী (৬০) কামরুল (৩৮), জীবন ঘোষ (৩০), শহিদুল ইসলাম (৪০) ও ভাঙ্গুড়া পৌর সরদার পাড়া মহল্লার রজব আলী (৬০)।
এসময় প্রায় ৪০ মণ ভেজাল ঘি, ৫ ব্যারেল ভেজাল পামওয়েল ৩৭ কাটুন ভেজাল বাটার ওয়েল, ৪ বস্তা ঘিয়ের ফ্লেবার ও ভেজাল ঘি তৈরির সরঞ্জামাদী জব্দ করা হয়।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেগুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জন সম্মুখে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধংস করা হয়।
এসময় নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. মাছুদুর রহমান এর ভ্রম্যমাণ আদালত আটককৃত ৬ জনকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
পাশাপশি শহিদুল ইসলাম ও তার শ্বশুর শামছুল আলম এর বিরুদ্ধে পুলিশকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।