ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর উপজেলাধীন শিবপুর ইউনিয়নের কালীকির্তি ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ফাতেমা বেগম(১২) পিতাঃমৃত বশির মিয়া এক স্কুল পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষন ও শারিরীক নির্যাতন ঘটনা ঘটে।
একই এলাকার পাশের বাড়িতে বসবাসকারী বখাটে বিবাহিত মোঃ মিজানুর রহমান(২৭) পিতাঃআবু তাহের ৩নং ওয়ার্ড বাসিন্দা বলে,ধর্ষিতা তার নিজ জবানবন্দিতে এসব বলেন। ধর্ষিতা মেয়ে নিজ বাড়িতে ফাকা পেয়ে এবং ধর্ষিতার মা বাড়ি উপস্থিত নেই বুঝতে পেয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে তার হাতে এবং পায়ে রশি বেধে মুখে লাল টেপ পেচিয়ে বাকরুদ্ধকরে ধর্ষন করে এবং শারিরিক নির্যাতন চালায় বখাটে মিজানুর রহমান এবং ঐ অবস্থায় অপরাধ সংগঠিত করে একপর্যায় পালিয়ে যায়।
পরে ফাতেমা মা ভোলার নিজাম হাসিনা ফাউন্ডেশন ক্লিনিকে আয়ার কাজ করেন বলে জানা যায়। কাজ থেকে ফিরে এসে তার মেয়েকে হাত পা বাধা দেখে এলাকার বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতা ও ৬ষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী ফাতেমা কে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখেন।
বর্তমানে ফাতেমা ভোলার সার্জারি ওয়ার্ডে এক্সটা বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানায় ওসি ছগির মিঞা জানান,ঘটনার তদন্ত করে মামলার প্রস্তুুতি চলছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য ধর্ষিতা ফাতেমা বেগম(১২) রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬ষ্ঠ শ্রেনীর একজন নিয়িমিত ছাত্রী বলে জানা যায়। এছাড়া ঘটনাস্থলে পরে থাকা রশি এবং লাল টেপ এর অপরাধের আলামত জব্দ করা হয়।