ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নে চাচাকে প্রাণ নাশের হুমকী দিলেন ভাতীজা।
মো. সাইফুল ইসলাম#ভোলা:ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নে জমিজমার বিরোধের জের ধরে চাচাকে প্রান নাশের হুমকী দিলেন ভাতীজা মো: রিয়াজ উদ্দিন। বর্তমানে ছাদেক এখন পরিবার নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছে। এই ঘটনায় ভোলা থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।কৃষক ছাদেক জানায়,তার ছোট ভাই আমীর হোসেন এর সাথে বড় ভাই সৈয়দ আহমেদ পন্ডিত দীর্ঘদিন ধরে জমী-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।এমনকি আমার জমিতে বড় ভাই বাড়ী করে থাকে। ছোট ভাই কেন আমার বাসায় আসে তার জন্য বড় ভাই সৈয়দ আহমেদ এর বৌ পাতা রানু,ছেলে রিয়াজ ও তার মেয়ে মিতু শনিবার রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাত সাড়ে বার টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এক পর্যায় তারা তাকে মেরে ফেলার জন্য দাড়ালো বটি দিয়ে কোপ দিতে চেষ্টা করে। পরে আমার ডাক চিৎকারে বাড়ীর অন্যান লোক জন এসে আমাকে ওদের হাত থেকে রক্ষা করে। বর্তমানে আমি খুব আতংকের মধ্যে বসবাস করছি। কারন আমার ঘর আর ওদের ঘর একদম পাশাপাশি। এসময় তারা আমার ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাপপত্র ভাংচুর করে।ছোট ভাই আমীর হোসেন বলেন, আমাদের বড় ভাই সৈয়দ আহমেদ পন্ডিত আমাদের অংশের জমী তিনি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছে। এই জমী ফিরে পাওয়ার জন্য তার কাছে বারবার দড়না ধরলেও তিনি কোন সারা না দিয়ে আমাদের অংশের জমী তিনি না জানিয়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়। আমি আমার প্রাপ্প জমি চাইতে আসলেই আমার সাথে বিরোধ জড়িয়ে পড়ে। আমি কেন জমি চাইতে আসি তার জন্য আমার তারা কয়েক বার আমাকে এবং আবার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমার আরেক ভাই ছাদেককেও বড় ভাই এর ছেলে রিয়াজ মারতে আসে।আমাদের দুটি পরিবার এখন তাদের ভয়ে আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এমনকি বড় ভাই সৈয়দ আহমেদকে জমীজমার বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য কয়েকবার বললেও তিনি কাল ক্ষেপন করে বেড়াচ্ছে। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদে এই নিয়ে অভিযোগ দিলেও তিনি সেখানে হাজির হয় না।স্থানীয়রা জানায়, তাদের এই বিরোধ দীর্ঘ দিনের। তবে এই বিরোধের জের ধরে যে ছাদেক কে মারতে আসবে তা আমরা ভাবতে পারিনা। আমরাবাড়ীর লোকজন গিয়ে ছাদেককে রক্ষা করি।এ ব্যাপারে সৈয়দ আহমেদ পন্ডিত বলেন, আমি কোন আমার ভাইদের জমী দখল করি নাই। আমি আমার প্রাপ্প অংশটুকু বিক্রি করেছি ও দখলে আছি। কাল রাতে আমার ছেলে আমার ছোট ভাই এর সাথে কথা বলতে গেছে মারতে নয় বলে জানান।এই ঘটনায় বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপ্লব মোল্লা বলেন, আমি এই ঘটনার একটি অভিযোগ পেয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদে এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম আদালতে তাদের দুপক্ষকে ডাকা হবে বলে তিনি জানান।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার