মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ‘রুদ্ধ’ করতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো বিভিন্ন ‘কালো আইন’ করায় দেশের মানুষ এখন ডিজিটাল আতঙ্কে ভুগছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে পাথর চাপা দিয়ে সারা জাতির দম বন্ধ করতে আপনারা (সরকার) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা কালাকানুন করে গণতন্ত্রকেই বন্দী করেছেন।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘এখন মানুষ মন খুলে কথা বলতে এবং হাসতেও ভয় পায়। মানুষ এখন ডিজিটাল আতঙ্কে ভুগছে।’
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, থলের বিড়াল এখন বেরিয়ে পড়ছে। ভারতের চেয়ে ১১ গুণ বেশি দামে ইভিএম কেনার উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোটের আগে বেশ বড় পরিমাণে টাকা হাতিয়ে নেয়া।
‘নির্বাচনের প্রাক্কালে এই টাকা কমিশনের কিছু ব্যক্তিকে উপহার দিলেন কি না, এটা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন আছে। কারণ অনেক কর্মকর্তা কমিশনের নিরপেক্ষতা ভেঙ্গে সরাসরি সরকারের দুষ্কর্মের সঙ্গী হতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে,’ যোগ করেন রিজভী।
আজ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের কমিশনের সভা বর্জন করা নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে এটি ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত। ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কারও কথা শুনেন না। তিনি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা বার্তা অনুযায়ী কাজ করেন।’
রবিবার মাদারীপুরের জনসভায় বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন মন্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা আজগুবি, উদ্ভট ও স্ববিরোধী নানা কথা বলেছেন, যা জাতিকে হতবাক করেছে।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে নিজ দলের অনাচারগুলোর দায় অন্যের ওপর চাপিয়ে বক্তব্য রেখেছেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার