রাজধানী ঢাকায় ১৮ মাস ধরে আটকে রেখে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে আকাশ চৌধুরী নামে ওই স্কুলছাত্রীর সৎ বাবা। এ ঘটনায় রাজধানীর মালিবাগ থেকে বাবা আকাশ চৌধুরীকে (৩০) গ্রেফতার করে আজ বুধবার সকালে ফুলবাড়ী থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, আকাশ চৌধুরীর কাছে থাকা একটি জাতিয় পরিচয়পত্রে নাম আকাশ চৌধুরী, পিতার নাম সেলিম চৌধুরী ও ঠিকানা বেতদিঘী ফুলবাড়ী দিনাজপুর লেখা থাকলেও সেখানে এই নামে কেউ বসবাস করে না। তার নিকটে থাকা পরিচয়পত্রটি ভুয়া হতে পারে। তার নামও ভুয়া হতে পারে।
ফুলবাড়ী থানার ওসি শেখ নাসিম হাবিব বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলার গড়পিং লাই গ্রামের সৈয়দ আরশেদ আলীর মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা সৈয়দা মুক্তা বেগম ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করার সুবাদে পরিচয় হয় গ্রেফতার আকাশের সাথে। এরপর আকাশ নিজের পরিচয় গোপন রেখে মুক্তা বেগমকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। তাদের সংসারে সিয়াম নামে ৮ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। চাকরি ছেড়ে মুক্তা বেগম তার গ্রামের বাড়ি ফুলবাড়ীতে চলে গিলে আকাশও তার সাথে গিয়ে মুক্তা বেগমের বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করে। ওই বাড়িতে বসবাস করত মুক্তা বেগমের পূর্বের স্বামীর ঘরে জন্ম নেয়া সপ্তম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী।
সৎ বাবা আকাশ চৌধুরী গত বছরের ২২ এপ্রিল মুক্তা বেগমের মেয়েকে ফুসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে।
এরপর তাকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় আটকে রেখে ধর্ষণ করতে থাকে।
এই ঘটনায় চলতি বছরের ১ জুলাই ফুলবাড়ী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে ওই ছাত্রীর মা মুক্তা বেগম। এরই মধ্যে গত ১৪ অক্টোবর ওই ছাত্রী কৌশলে ঢাকা থেকে পালিয়ে গিলে তাকে ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অপহৃতার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৩ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মালিবাগ থেকে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহমান বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার