মতলব উত্তর দক্ষিণ নিয়ে চাঁদপুর-২ সংসদীয় আসন। এই আসনের মতলব উত্তর ও দক্ষিণে ভোট নিয়ে শক্তির বিবেচনায় আওয়ামী লীগ এগিয়ে। এছাড়া দলের দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ছিল ধারাবাহিক। আগামী সংসদ নির্বাচনে এটাকেই পুঁজি হিসেবে দেখতে ক্ষমতাসীন দলটি। তবে দলের মনোনয়ন পাওয়া সম্পর্কে বর্তমান সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের বিশিষ্টজন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন রুহুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও মতলব কলেজের সংসদের নির্বাচিত সাবেক কমনরুম জাকিয়া সুলতানা শেফালী, শিল্পপতি এম ইসফাক আহসান কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খোকা পাটোয়ারী ও দীপু চৌধুরীর প্রতি সপ্তাহে এলাকায় এসে গণসংযোগ করে আগামী নির্বাচনে নৌকা ও নিজেদের পক্ষে জনমত আনার পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো চাঁদপুর-২ থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মো: নূরুল হুদার কাছে হেরে যান অবশ্য ১৯৯৬ এর ১২ জুনের নির্বাচনে মায়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তখন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে নুরুল হুদার কাছে কাছে মায়া আবারও পরাজিত হন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মায়া দেশের বাইরে থাকায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) রফিকুল ইসলাম।বিগত নির্বাচনগুলোতে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ চারবার বিএনপি তিন বার ও জাতীয় পার্টি দুইবার বিজয়ী হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার আসনটি পায়। এর সর্বশেষ ২০১৪ সালে নির্বাচনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন অন্যদিকে বিএনপির প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য মো: নূরুল হুদার মৃত্যুর পর এই আসনে দলটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে ধানের শীষ প্রতীকের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শুক্কুর পাটোয়ারী, নির্বাহী কমিটির অন্যতম ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ডক্টর মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন সাবেক, সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রীর নুরুল হুদা ছেলে অধ্যাপক তানভীর হুদা এলাকায় নিয়মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।
[ads1]
অপরদিকে জাপার কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন মিয়া ও অ্যাডভোকেট শামীম এলাকায় নির্মিত নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সহ সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে অংশগ্রহণ করছেন জাতীয় পার্টির শাসনামলে এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) শামসুল হক।
তিনি ওই সময়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শুক্কুর পাটোয়ারী বলেন দলীয় মনোনয়ন পেলেও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হলে ধানের শীষ বিজয় উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. জালাল উদ্দিন বলেন দলের নেতাকর্মীদের আগ্রহের কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা দাবি করছি।
জাকিয়া সুলতানা শেফালী বলেন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অসংখ্য বার কারাবরণ করেছি এখনো বহু মামলার আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করছে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী থানা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার বলেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়নের পরিবর্তন প্রয়োজন।
কারণ বিশেষ একটি গুষ্টী নিজেদের মতো করে দল চালাচ্ছে শিল্পপতি ইসফাক আহসান বলেন মনোনয়ন পেলে বিজয় সুনিশ্চিত।
[ads2]
কপি
চীফ রিপোর্টার তানজির আহম্মেদ সানি তপদার
০১৫১৫৬৮৭৯০০
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার