চাঁদপুর-২ মায়া ও জালালকে ঘিরে জমজমাট ভোটের মাঠ
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রার্থী বর্তমান সাংসদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবেচনায় আওয়ামী লীগের অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে তিনি অনেক এগিয়ে আছেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় মানবপ্রাচীর দিয়ে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার বিষয়টিও মায়ার মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তিনি ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। এবারও তিনি জয়ী হবেন বলে আশা করছেন তার অনুসারী নেতাকর্মীরা।
আসনটিতে মায়াসহ নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের আট মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম তুলেছেন। তাদের মধ্যে একমাত্র নারী মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জাকিয়া সুলতানা শেফালী। এ ছাড়া রয়েছেন মন্ত্রীপুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, শিল্পপতি ইসফাক আহসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুছ, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা খোকা পাটোয়ারী, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী।
অপরদিকে বিএনপির প্রভাবশালী সম্ভাব্য প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিন এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি আস্থাভাজন নেতা। হামলা-মামলা মাথায় নিয়েও নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে নিজের ইমেজ ধরে রেখেছেন তিনি। তৃণমূলে দলের নেতাকর্মীদের পাশে আছেন সবসময়। আইনি সহায়তা দিয়ে জামিনে মুক্ত করে নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রেখেছেন তিনি। তার হাত ধরে মতলবে বিএনপির বিভক্ত সাংগঠনিক কমিটিগুলো ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এ আসনে ড. জালালসহ বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন পাঁচজন। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় নেতা আতাউর রহমান ঢালী, ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, এমএ শুক্কুর পাটোয়ারী ও তানভীর হুদা। তাদের মধ্যে ড. জালালই তৃণমূলে বেশি জনপ্রিয় বলে জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।