প্রসঙ্গঃ সতর্কীকরণ ও সমাধান মুলক পোস্ট।
খুবই দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে লিখাটি পোস্ট করছি আজও “খা” পাড়া মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। ৪৫ দিন আগে আমার ছোট ভাই জনি এখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। আর কত জন মানুষের প্রাণ গেলে এই জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ এর লাইনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ???জাতীয় গ্রীডের ৩৩০০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন কিভাবে একটি জন বসতি পুর্ণ এলাকার ২০ থেকে ২৫ ফিট উপর দিয়ে সঞ্চালিত হয় সেটাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন?
বিদ্যুতের এই সঞ্চালন লাইনটি কাওলা থেকে বনরুপা হয়ে খিলক্ষেত “খা” পাড়ার উপর দিয়ে আবুরটেক হয়ে খিলক্ষেতের উপর দিয়ে চলে যায়। বিঃদ্রঃ খাপাড়া থেকে আবুরটেক পর্যন্ত ৩৩০০০ ভোল্টের এই লাইনটি এতটাই নিচু হয়ে গিয়েছে যে একতলা বাড়ি ছাদ থেকে মানুষের গায়ে লেগে যায়। আর এতেই প্রাণনাসের ঘটনা গুলো ঘটে।
এখনও পর্যন্ত এই সঞ্চালন লাইনের কারনে ২০ থেকে ২৫ জনের প্রাণ হানি হয়েছে। গত ৩ মাসে ৩ জন দুর্ঘটনার কবলে পরে ২ জন সাথে সাথেই মারা গিয়েছে আর একজন গতপরশু দুর্ঘটনায় পরে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আমাদের দেখা এখন পর্যন্ত যারাই এই সঞ্চালন লাইনের কারনে এক্সিডেন্ট হয়েছে কেউ বেচে ফিরে নি। তাই দয়াকরে খিলক্ষেতবাসির নিকট আমাদের একটি অনুরোধ আপনারা আমাদের “খা” পাড়ার পাশে দাড়ান আমরা যেনো এই দানবিয় মানব সৃষ্ট দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাই। আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি আপনারা দয়াকরে আমাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করুন।
তাই আমাদের জীবনের নিরাপত্তা রক্ষা কল্পে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। আপনারা যদি গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি একটু আমলে নিয়ে আমাদের দিকে সদয় দৃষ্টি দিতেন তাহলে এই ভয়াবহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা গুলো থেকে আমরা রক্ষা পেতাম।
কিছুদিন আগেও এধরনের একটা ঘটনা নিয়ে আমরা নিউজ লিখেছিলাম, কিন্তু সাধারণ জনগণ তার কোন প্রতিকার পায়নি, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Tareq siddiqui Litu এর ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহীত।
রিপোর্টার তানজির আহম্মেদ সানি তপদার