ভোলায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোব সমাবেশ।
মো. সাইফুল ইসলাম#ভোলা:সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালসহ ১১ দফা দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন,বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ভোলা জেলা প্রেস ক্লাব এর চত্বরে সমাবেশ করেছে ভোলা জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।এতে ৭টি উপজেলাথেকে আগত্ব কয়েক শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এই সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন। এস সময় তারা স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরীদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধেরও দাবি জানান। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করারও দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। পরে একটি বিক্ষোভমিছিল নিয়ে ভোলা শহর প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন,আপনাদের স্বারকলিপি যে দাবী করা হয়েছে তা আমি দ্রুত মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর দ্রুত পাঠিয়ে দিবো। সমাবেশে বক্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে আগামী দিনে সারাদেশে আরো বড় ধরনের কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারদেন আন্দোলনকারীরা।সমাবেশে ভোলা ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ এর সভাপত্বিতে প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো: শফিকুলইসলাম। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ভোলা সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডা মো: অহিদুর রহমান,প্রবীন সাংবাদিকও মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বাংলার কন্ঠের সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান,দৌলতখান উপজেলার সাবেক কমান্ডার আব্দুর রজ্জাক শশী,লালমোহন উপজেলার সাবেক কমান্ডার মো: শাহজাহন, চরফ্যাশন উপজেলার কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ,মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড এর সভাপতি মো: আজিজুল ইসলাম, ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর আহবায়ক হামিদুর রহমান হাসিব,সদস্য সচিব আদিল হোসেন তপু,যুগ্ন-আহবায়ক তানজিরুল ইসলাম,লালমোহন উপজেলার আহবায়ক আ.ন.ম শাহজাহান দুলাল, চরফ্যাশন উপজেলার আহবায়ক আরাফত হোসেন,সদস্য সচিব আব্বাস উদ্দিন দৌলতখানের আহবায়ক মো: রাশেদুজ্জামান । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন-মো: এমরান হোসেন,সাব্বিরুল ইসলাম তুরাজ,মো: মাকসুদুরর রহমান,সাহিন সরোয়ার,মো: সোহেল প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন- সাংবাদিক অমিতাভ রায় অপু।মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের ১১ দফা দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা, জামাত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তান ও তাদের উত্তরসূরীদের সরকারী চাকুরিতে নিয়োগ দেয়া বন্ধ, জামাত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের প্রজন্ম যারা সরকারী চাকুরিতে বহাল আছে তাদের তালিকা করে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের ও সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও জামাত-শিবির স্বাধীনতা বিরোধীদেরপরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাতের ‘হলোকাষ্ট’ এ্যাক্ট বা জেনোসাইড ডিনায়েল ল’ এর আদলে আইন করে রাষ্টদ্রোহী, দেশদ্রোহী হিসেবে তাদের বিচার করা,কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ছাত্র হত্যা গুজব ছড়িয়ে যারা উস্কানি দিয়েছে এবং যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া সহ আরো অনেক দাবি জানানো হয়।