মো. সাইফুল ইমলাম#ভোলা:ভোলা সদর থানার ট্রাফিক পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে অটোরিকশার চালকদের বিভিন্ন সময় পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ওই এএসআইয়ের নাম শাহেআলম। গত ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ৮ জন আটো চালক এ অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার পরে ট্রাফিক পুলিশ এক চালককে ডেকে নিয়ে এএসআইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেন।সংবাদ সম্মেলনে অটোরিকশার চালক মো. মিজানুর রহমান (ভোলা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড) বলেন, মঙ্গলবার সাড়ে ১২টার দিকে এএসআই শাহেআলম নুর সাইকেলসসের সামনে মিজানকে মুখে চড়, বুকে ঘুষি এবং হাতের লোহার রড দিয়ে পিঠে বাড়ি দেন। এ সময় ওই এএসআই ৪-৫ জনকে মেরেছিল।মিজান জানায়, তিন মাস আগেও তাকে একবার শাহে আলম মেরেছিল।পৌর কাঠালীর ৮নং ওয়ার্ডের চালক মো. বিল্লাল বলেন, যে দিন রাষ্ট্রপতি এসেছিল, সেদিন শহরে জ্যাম ছিল না। সে দিন এএসআই হাতের লোহার রোল দিয়ে বাড়ি মারে।সংবাদ সম্মেলনে উকিলপাড়ার আঃ জব্বার বলেন, মাস তিন আগে শাহে আলম শহরের কাগজঘরের সামনে চড়-থাপ্পর দিয়ে হাতের মোবাইল নিয়ে যায়। পরে একশ টাকা দিলে মোবাইল ফিরিয়ে দেয়।কালীবাড়ির রোডের মো. ইসমাইল হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের মো. নিরব, মো. আলমগীর বলেন, এএসআই শাহে আলম তাদেরকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেছেন। বিভিন্ন সময়ে চালকদের কাছ থেকে নগদ টাকা ঘুষ নেয়।এএসআই শাহে আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, শহরের কিছু অটো রিকশার চালক বাংলাস্কুলের মোড়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। এতে শহরে যানজট সৃষ্টি হয়। সে সময় বকাঝকা করেন। কিন্তু কাউকে পিটিয়ে জখম করেনি।