আগামী ০৪ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখ রোজ রবিবার সকাল ১০.০০ টায় আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে “শুকরানা মাহফিল” এর আয়োজন করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা শহরসহ সমগ্র বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসার কয়েক লক্ষ লোক বাস, ট্রেন, লঞ্চযোগে ঐদিন ভোর হতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হবেন।
সেক্ষেত্রে সর্বসাধারণকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠানস্থল এবং এর আশে-পাশের এলাকা দিয়ে ভারী/হালকা যানবাহনসহ গমনাগমন পরিহার করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো। ঐদিন জেএসসি পরীক্ষা রয়েছে বিধায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিকটবর্তী কেন্দ্রসমূহের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিবর্গকে নিম্নোক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা মেনে চলার অনুরোধ করা হলো।
গাবতলী, মিরপুর রোড হয়ে আগত ব্যক্তিবর্গ সাইন্সল্যাব-নিউমার্কেট হয়ে নীলক্ষেতে নেমে পায়ে হেঁটে টিএসসি হয়ে বিভিন্ন গেট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করবেন এবং তাদের বাস সমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্ত্বর এবং নীলক্ষেত হতে পলাশী পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে এক লাইনে পার্কিং করবেন।
উত্তরা হতে এয়ারপোর্ট রোড হয়ে মহাখালী- মগবাজার- কাকরাইল চার্চ- রাজমনি ক্রসিং- নাইটেংগেল- পল্টন মোড়- জিরো পয়েন্ট অথবা খিলক্ষেত ফ্লাইওভার- বাড্ডা- গুলশান- রামপুরা রোড- মৌচাক ফ্লাইওভার-মালিবাগ- শান্তিনগর- রাজমনি ক্রসিং- নাইটেংগেল হয়ে পল্টনমোড়/জিরোপয়েন্ট হয়ে আগত ব্যক্তিবর্গ পল্টন মোড়/জিরো পয়েন্টে নেমে পায়ে হেঁটে দোয়েল চত্ত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে গমন করবেন এবং তাদের বাস সমূহ মতিঝিল এলাকায় পার্কিং করবেন। উল্লেখ্য উত্তরা/এয়ারপোর্ট হতে আগত গাড়ি সমূহের পার্কিং স্থান মতিঝিল/গুলিস্থানে সংকুলান না হলে প্রয়োজনে হাতিরঝিল এলাকায় পার্কিং করা হতে পারে।
চট্টগ্রাম, সিলেট হতে যাত্রাবাড়ী হয়ে এবং দক্ষিণাঞ্চল হতে পোস্তগোলা হয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে আগত ব্যক্তিবর্গ গুলিস্থানে নেমে পায়ে হেঁটে জিরো পয়েন্ট- দোয়েল চত্ত্বর হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে গমন করবেন এবং তাদের বাস সমূহ মতিঝিল/গুলিস্থান এলাকায় পার্কিং করবেন। যারা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এর উপর দিয়ে চানখারপুল হয়ে আসবেন তারা চাঁনখারপুল নেমে পায়ে হেঁটে দোয়েল চত্ত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবেন এবং তাদের বাস সমূহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে পার্কিং করবেন।
বাবুবাজার ব্রীজ হয়ে আগত ব্যক্তিবর্গ গোলাপশাহ্ মাজারে নেমে পায়ে হেঁটে হাইকোর্ট-দোয়েল চত্ত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবেন এবং তাদের বাস সমূহ গুলিস্থান এলাকায় পার্কিং করবেন।
শাহবাগ হতে মৎসভবন পর্যন্ত সড়ক সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারিদিকের রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের গমনাগমন উপলক্ষে ঐদিন ভোর হতে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠান স্থলের চারপাশের বিভিন্ন ইন্টারসেকশন যেমন-বাংলামটর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, শাহাবাগ, কাটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী, বক্শিবাজার, চাঁনখারপুল, গোলাপশাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, পল্টন, কাকরাইল চার্চ, অফিসার্স ক্লাব, মিন্টু রোড ক্রসিংগুলো হতে গাড়ি ডাইভারশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। অনুষ্ঠান স্থলে আগত ব্যক্তিগণকে কোন প্রকার হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ বা ধারালো কোন বস্তু বহন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ উপরোক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সম্মানিত মহানগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।
-ডিএমপি নিউজ।