আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মনোনয়ন পাননি। চাঁদপুর-২ থেকে তিনি নির্বাচন করতেন। কিন্তু গতকাল আওয়ামী লীগ ঘোষিত চূড়ান্ত মনোনয়নে তিনি মনোনয়ন পাননি। তাঁর আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নূরুল আমীন। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, কৌশলগত কারণেই মায়াকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে গতকাল ডেকে নিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে ঢাকায় থাকার কথা বলেছেন দলীয় সভাপতি। একই সঙ্গে ঢাকার সাংগঠনিক বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখতে বলেছেন।আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্বাচনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধূরী মায়াকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হবে ও ঢাকার রাজনীতির দায়িত্ব দেয়া হবে ।
সূত্রগুলো বলছে, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন ঢাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক মূল নেতা। তাঁদের হাত ধরেই ঢাকায় সাংগঠনিক ভাবে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়ে গড়ে ওঠে। ১৯৯৪ সালে ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম এখানে জয় পায় আওয়ামী লীগ, যদিও তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। মোহাম্মদ হানিফের অসুস্থ হয়ে পড়া ও তাঁর মৃত্যু এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার চাঁদপুর থেকে নির্বাচন, এই দুইয়ের ফলে ঢাকার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে। ঢাকা সিটি নির্বাচনে এখন দুই ভাবে বিভক্ত। উত্তর-দক্ষিণ দুই ভাগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেও দুই নেতা। উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমাতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। দক্ষিণের জন্য সভাপতি হিসেবে আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। কিন্তু এরপরও ঢাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল এবং দেখা দিয়েছে নেতৃত্ব শূন্যতা।
আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, কৌশলগত কারণেই মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে চাঁদপুর থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। আর আগাম নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, নির্বাচনের পর ঢাকা মহানগরীতে আমূল সংস্কার করা হবে। ঢাকা মহানগরীকে মায়ার দায়িত্বে দেওয়া হবে।