মো.সাইফুল ইসলাম#ভোলা: ফুটবল খেলায় রেফারির বাঁশির শব্দের এর জন্য যেমন প্লেয়াররা অপেক্ষা করে থাকেন তেমনি এতদিন নির্বাচনে মনোনয়ন প্রার্থীরা অপেক্ষা করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের বাঁশির ফুঁ এর জন্য। যখন ১০ই ডিসেম্বর সোমবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বাঁশির ফুঁ দেওয়া হয় তখন থেকেই সারা বাংলাদেশের প্রচার-প্রচারণার একটি ধুম পড়ে যায়।একই সাথে প্রচার-প্রচারণা বাদ যায়নি ভোলা জেলায় ও। ভোলা জেলার ১ আসনে মনোনীত আওয়ামী লীগের প্রার্থী জনাব তোফায়েল আহমেদ (বাণিজ্য মন্ত্রীর)এর নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করে। এসময় গাছে গাছে পোস্টার সহ বাড়িতে বাড়িতে লিফলেট বিতরণ করে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জন্য প্রচারণা চালান আওয়ামী লিগ সমর্থন কর্মীরা। এছাড়াও উক্ত লিফলেটে বর্ণনা করা ছিল যে গত পাঁচ বছরে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কতটা উন্নয়ন হয়েছে এবং ভোলার মধ্যে কতটুকু উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তিনি। তার একটি রূপ চিত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে সেখানে এবং আরো লেখা ছিল বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কতটুকু পরিমাণ বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে পেরেছিল তার একটি প্রামান্য চিত্র। পাশাপাশি থেমে নেই ভোলা ১ আসনের বিএনপির প্রচার প্রচারণার কাজও। যদিও ভোলা ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ কিন্তু তিনি নিজের ইচ্ছায় সেটা বাতিল করেন এবং তার পরিবর্তে দেওয়া হয়েছিল গোলাম নবী আলমগীর কে। এর বদলে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ মনোনয়ন নিয়েছেন ঢাকা ১৭ আসন থেকে। এর পাশাপাশি চরমোনাই ইসলামী শাসনতন্ত্র থেকে ভোলা ১ আসনের মনোনয়ন পেয়েছেন জনাব মুফতি মোহাম্মদ ইয়াসিন নবীপুরী সাহেব।তিনি হাতপাখা মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই দুই বিরোধীদলের।মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থনকারীগন ভোলা সদরে শান্তিপূর্ন ভাবে মিছিল বের করে।এসময় তারা ভোলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলোর প্রদক্ষিন করে। সব প্রার্থীরা উন্নয়নের জন্য আশ্বাস দিচ্ছেন। সব ধরনের বিষয়বস্তু মিলিয়ে ভোলা ১ আসনে এখন চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।যত ই দিন যাচ্ছে ততই নির্বাচনের হাওয়া গাঢ় হয়ে বইতে শুরু করেছে। জনগন বেছে নেবেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে এমনটাই কথাবার্তা বলছেন ভোলাবাসী।