মো. সাইফুল ইসলাম#ভোলা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ জেলা হচ্ছে ভোলা।এখানেও থেমে নেই নির্বাচনী আমেজের প্রচার প্রচারণা। ভোলা ১ আসন থেকে যারা বিভিন্ন দল থেকে প্রার্থী হলেন তাদের মধ্যে হচ্ছে- নৌকা থেকে প্রার্থী :মোঃ তোফায়েল আহমেদ, ধানের শীষ প্রার্থীদের প্রার্থী হলেন: মোহাম্মদ গোলাম নবী আলমগীর.. এবং হাতপাখা থেকে মনোনীত হলেন জনাব মোহাম্মদ ইয়াসিন নবীপুরি।এখানে প্রতিটি দলের চলছে পূর্ণ উদ্যোমে প্রচার-প্রচারণা।এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ তোফায়েল আহমেদ ভোলা ১ আসনের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় গিয়ে ভোট চেয়েছেন এবং সেখানে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় আবারো ভোট দিতে।এর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে বেশ জমজমাট এর সাথে নৌকা প্রার্থী নেতাদের প্রচার প্রচারণা।বিএনপির প্রার্থীদের তেমন একটা আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না এই আসনটিতে।তবে তাদের মাঝে মধ্যে দু এক সময় একটি খণ্ড মিছিল দেখা যায়। অন্যদিকে হাত পাখার প্রার্থী তারা বিভিন্ন স্থানে জনসভা করেছেন। গত কয়েকদিন আগে হাত পাখার চেয়ারম্যান জনাব মুফতি রেজাউল করিম সাহেব এসে ভোলাতে জনসভায় হাত পাখার পক্ষে ভোট চাইলেন।এখন জনসভা ও মিছিল মিটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটের প্রচারণা চলছে যেমন প্রত্যেকটি দলেই তারা তাদের গানের মাধ্যমে তাদের প্রচার-প্রচারণা করছেন।বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সমর্থনকর্মীরা, তারা গানের মাধ্যমে তাদের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে নৌকার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।অন্যদিকে হাত পাকার প্রার্থীরা গজল এর মাধ্যমে করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।এখানে বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে কোন প্রচার প্রচারণা চালাতে দিচ্ছেন না ফলে এখানে অনেকটা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রচার প্রচারণায় ভাটা পড়ে গেছে।তারা জানান ইতিমধ্যে মাঠে সেনাবাহিনী নেমে গেছে এবং যদি তারা থাকে তাবে অবশ্যই প্রচার চালাতে পারবেন। সব মিলিয়ে প্রার্থীদের নির্বাচনী বিষয় নিয়ে এ আসনটিতে এখন অনেক উত্তেজনা এবং আমেজ বিরাজ করছে। কে হবেন ভোলা ১ আসনের যোগ্য প্রার্থী তা এখন মাত্র সময়ের ব্যাপার।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার