নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ৩০ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়নগঞ্জের ৫ টি সংসদীয় আসনের কেবলমাত্র ২ টি ( ২ ও ৩) আসনে একতাবদ্ধভাবে দলীয় প্রচার প্রচারণা ও মাঠ পর্যায়ে নিরলস ভাবে কাজ করতে পেরেছে নেতাকর্মীরা এবং বাকি ৩ আসনের কোনোটিতেই তেমনভাবে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিলক্ষন হয় নি নেতাকর্মীদের মাঝে।
এর পেছনে বর্তমান জেলা ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করছে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বর্তমান বিএনপির জেলা ও মহানগর কমিটির মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতা ছাড়া অধিকাংশদেরই দেখা যায় না কোনো দলীয় কর্মসূচীতে।
নিজেদের খামখেয়ালি ও দলের প্রতি উদাসীন মনোভাবের কারণে নারায়নগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি এমন নিথর হয়েছে বলে মনে করেন। বিএনপির তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মতে, দলে তরুন ও সাহসী বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে নতুন করে জেলা ও মহানগর বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে হবে।
তরুনদেরকে প্রাধান্য দিতে হবে।
এ ছাড়া যোগ্য নেতৃত্ব তৈরী করা সম্ভব হবে না।
কারণ, কমিটির প্রবীন পর্যায়ের নেতাদের অধিকাংশদেরকেই বিগত দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেখা যায় নি।
এমনকি বর্তমান জেলা সভাপতিও এর বাইরে নন।
এছাড়াও গত ১৯ই জানুয়ারী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৩ তম জন্মদিনেও দলীয় কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় নি বর্তমান কমিটির অধিকাংশকেই।
এভাবে দলীয়ভাবে ও সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় নেতাদেরকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদবীতে না রেখে বরং তরুণদের মধ্য থেকে যারা বিগতদিনের আন্দোলনসহ, সকল কর্মসূচী তে অংশ নিয়েছে ও নেতৃত্বদান করেছে তাদের নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠন করাই এখন তৃনমূলকে চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করেন সকলে।