মো. সাইফুল ইসলাম#ভোলা:আসন্ন ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন। জেলা আ’লীগের বর্ধিত সভায় প্রাথমিকভাবে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় চুরান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ওবায়দুল হক মহাবিদ্যালয়ের মাঠে আ’লীগের বর্ধিত সভায় ভোলা সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ইউনিয়ন আ’লীগে সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারন সম্পাদকদের মতামত ও তাদের সঠিকরায়ের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ওবায়দুল হক মহাবিদ্যায়েল মাঠে জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মমিন টুলু বর্ধিত সভায় ভোটারদের রায় নিয়ে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের এককভাবে চুরান্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা করেন।এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনির, জেলা আ’লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মো: ইউনুছ, সাবেক শিল্প ও বানিজ্যমন্ত্রীর পুত্র, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আজিজুল ইসলামসহ উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।এসময় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে আমি রাজনীতিতে আসার পর থেকেই ৬৯এর মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর একান্ত রাজনৈতিক সচিব সাবেক শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী বর্তমান উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ভোলা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি মহাদয়ের হাত ধরেই রাজনিতিতে আসি। রাজনীতিতে আসার পর থেকেই তোফায়েল আহমেদ এর অবাধ্য হয়ে কোন কাজ করিনি। যখন যে সময়, যে নির্দেশ আমাকে তিনি দিয়েছেন আমি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। আমি কখনো মাননীয় মন্ত্রীর আদেশের বাহিরে যায়নি। এরই ধারাবাহিকতায় আমার শ্রদ্ধাভাজন নেতা তোফায়েল আহমেদ ২০১২ সালে আমাকে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। এবং ২০১৪ সালে আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনায়ন দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন।তিনি আরো বলেন, তার আদর্শ বুকে ধারন করে ও জনগনের ভালোবাসার ম্যানডেট নিয়ে বিপুল ভোটের মাধ্যমে সদর উপজলো সর্বস্তরের মানুষের ভোটে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সাবেক শিল্প ও বানিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক ভোলার ১৩টি ইউনিয়নে যে পরিমান টিআর, কাবিখা, এডিপি এবং বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তারমধ্যে উল্লেখ যোগ্য নতুন স্কুল বভন,নতুন সাইক্লোন সেল্টার, কমিনিউটি ক্লিনিক, ত্রানের ব্রীজ, পুল, কালভার্ট সহ প্রতিটি ইউনিয়নে ডিপ টিউবয়েল, উপজেলা পরিষদ সম্প্রাসারন ভবন, মৎস ভবন, একটি বাড়ি একটি খামার, বিআরডিবি ভবনসহ বিভিন্ন জায়গাতে নতুন ভবন প্রতিষ্ঠা করেছি এবং নতুন রাস্তা, রাস্তায়সোলার প্যানেল, অসহায় গরিব দুস্থদের মাঝে ঘরেরজন্য ঢেউটিন, সেলাই মেশিন, বিজিডি, বিধবা, বয়স্ক, পঙ্গুত্ব, মাতৃকালীন ভাতা মাধক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন সেক্টরে যে উন্নয়ন করেছি তা নজীর বিহীন এবং তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জনগের উদ্দেশ্য মোশারেফ হোসেন বলেন, আমি যদি পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হতে পারি তাহেল ভোলা সদর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়কে তোফায়েল আহমেদ এর স্বপ্নের ভোলাকে সিঙ্গাপুরে তৈরীতে কাজ করে যাবো এবং ভোলা সদর উপজেলাকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি অত্যাধুনিক মডেল সদর উপজেলা হিসেবে রুপান্তরিত করার চেষ্টা করব। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে মাধক থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখার জন্য খেলার মাঠসহ মিনি পার্ক তৈরী করার চেষ্টা করব। ভোলার যুবসমাজ যাতে মাধকের ভয়ানক গ্রাস থেকে দূরে সরে গিয়ে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করে ভালো লেখাপড়ার মাধ্যমে জীবনে ভালো কিছু করতে পারে তাই আমার এই পরিকল্পনা অব্যাহত থাকবে। আমি আশাবাদী ভোলা সদর উপজেলার প্রতিটি জনগন আমাকে আবারো বিপুল ভোটে মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার