রিপোর্টারঃমোঃসবুজ হোসেন:
কক্সবাজারের সবচেয়ে বিলাসবহুল হোটেল কোনটি? কারো মুখে এই প্রশ্ন শুনলে চোখ বুজে উত্তর দিতে পারেন ‘রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা’। ইনানী বিচে গড়ে তোলা এই হোটেলটি পাঁচ তারা মানের।
এক পাশে সমুদ্র আর অন্য পাশে আকাশচুম্বী পাহাড় নিয়ে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সর্বদা প্রস্তুত স্পেনীয় স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত লাক্সারিয়াস এই রিসোর্টটি।
প্রায় ৫০ বিঘা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই রিসোর্টে রয়েছে ৪৯৩টি কক্ষ। প্রতিটি কক্ষের আভিজাত্য এবং স্বকীয়তা বিশেষভাবে চোখে পড়ে, যা হোটেলে আগত অতিথিদের কাছে রাজকীয় অনুভূতি এনে দেয়। হিল ভিউ এবং সি ভিউ এই দুই রকম ভিউয়ের মিশ্রণ রয়েছে সুপেরিয়র কক্ষে।
প্রিমিয়াম সি ভিউ স্যুইটে মিলবে কিচেন, ডাইনিং ও লিভিং এরিয়া। প্যানারমিক সি ভিউ স্টুডিও স্যুইটে মিলবে কিচেন, ডাইনিং, লিভিং এরিয়া ও ব্যালকনি। এছাড়া সৈকতমুখী ব্যালকনি, আলাদা লিভিং স্পেস, তিনটি ওয়াশরুম, একটি মাস্টার বেডরুম এবং একটি চিলড্রেনস রুম সুবিধা রয়েছে ফ্যামিলি স্যুইটে।
শুধু তাই নয়, বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট। বিশাল আয়তনের রাজসিক অন্দরসজ্জা ও ফার্নিচারের পাশাপাশি এখানে রয়েছে বড় একটি বারান্দা। আর নবদম্পতিদের জন্য রয়েছে লাক্সারি হানিমুন স্যুইট, যেখানে একটি সংসারের প্রয়োজনীয় সবকিছুই রাখা হয়েছে আর সেই সাথে থাকছে জ্যাকুজি এবং সুইমিংপুল।
এসব ছাড়াও রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্টের প্রতিটি রুমেই রয়েছে মিনিফ্রিজ, টি/কফি মেকার, টিভি, পানির বোতল, শাওয়ার কিউবিকল, ২৪ ঘণ্টার রুম সার্ভিস এবং ফ্রি ওয়াইফাইয়ের সুবিধা। বিশেষ বৈশিষ্ট হল এই রিসোর্টের নিজস্ব সমুদ্র সৈকত রয়েছে।
এছাড়া রয়েছে আন্তর্জাতিকমানের বার, কফি শপ, সুইমিং পুল, শিশুগ্রাউন্ড, ওয়াটার পার্ক, টেনিস, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, থ্রিডি মুভি হল, বিলিয়ার্ড, ব্যায়ামাগার এবং স্পা। আর আউটডোর এ্যাকটিভিটির মধ্যে আছে প্যারাসেইলিং, স্নোরকেলিং, ডিপ সি ফিশিং এবং স্পিডবোট রাইড সুবিধা তো রয়েছেই হোটেলটিতে।
রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্টে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুম রয়েছে। এসব রুমের কোন একটিতে রাত্রিযাপন করতে হলে আপনাকে ১২ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা গুনতে হবে। তবে এখানে সারা বছরই বিভিন্ন হারে ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে
কক্সবাজার থেকে নিজস্ব পরিবহনে সহজেই চলে যেতে পারবেন ইনানী বীচ সংলগ্ন রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্টে। আর যদি নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকে তবে কক্সবাজারের কলাতলী থেকে মাইক্রো কিংবা সিএনজি ভাড়া নিয়ে সহজেই চলে যেতে পারবেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার