আজ আমি খিলক্ষেতের রাস্তা ঘাট, যানজট ও পথাচারিদের কিছু অসাহায়ত্বের কথা বলবো। লেখাটা একটু বড় হলেও বিস্তারিত সকল সমস্যা ও সমাধানের পথ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
প্রথমেই শুরু করছি আমাদের নতুন ওভার ব্রীজের কথা দিয়ে, যা আমি এই ব্রীজ তৈরির সময়ই বলেছি যে এটা আমাদের জন্য অপ্রতুল এবং শিশু, বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য ব্যবহার উপযোগী নয়।
জনগণের ব্যবহারের জন্য কোন স্থাপনা তৈরি করলে সেটা সকলের উপযোগী কি না সেটা চিন্তা করেই তৈরি করা উচিত। যেহেতু এতো উচু এবং স্লিপ খেয়ে পরে যাওয়ার চাঞ্চ রয়েছে তাই বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। কারন ৫০ উর্ধ মানুষ এই ব্রীজ দিয়ে পার হতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। আমার বাবার বয়স ৭০ বছর তিনি এই ব্রীজে উঠতে পারে না। ওনার বয়সী মানুষ কি তাহলে খিলক্ষেত থেকে বেরুবে না?😭
তাই বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলাদের জন্য একটি এক্সেলেটার সিড়ি রাখা উচিত ছিল। এবং ব্রীজ টি আরো প্রসস্থ করা উচিত ছিল। যারা এটা নিয়ে সার্ভে করে রিপোর্ট দিয়েছে তাদের কে আমি অযোগ্যই বলবো। তাই এটার একটা সমাধান চায় খিলক্ষেতবাসি।
এবার আসি খিলক্ষেত এর জ্যামের কারন গুলো ও সমাধান নিয়ে কিছু কথা,
খিলক্ষেতের প্রতিটি ফুটপাত এখন দখলদারদের হাতে চলে গিয়েছে। ওভার ব্রীজের ওখানে থেকে শুরু করে এমন কি রেল লাইনের উপরে পর্যন্ত দোকান নিয়ে বসে আছে। আর এর জন্য প্রতি সপ্তাহে কেউ না কেউ ট্রেনে কাটা পরছে।
তারপর আসেন রেল লাইনের পর থেকে স্কুল রোড পর্যন্ত মানুষের হাটার কোন ব্যবস্থা নেই কারন কেউ টুকরি নিয়ে বসে আছে কেউ একটু টিনের ছাউনি তুলে বসে আছে আবার কেউ ভেন নিয়ে বসে আছে। বাহ কি সুন্দর ব্যবস্থা যার যেখানে মন চাচ্ছে বসে পরছে ব্যবসা করার জন্যে।
ভেবেছিলাম রাস্তা হবে আমরা শান্তিতে চলাফেরা করবো। সে আশায় গুরেবালি!!!! রাস্তা যদিও আগের থেকে একটু হলেও বড় হয়েছে কিন্তু আমরা কি সেই সুফল ভোগ করতে পারছি? কোন ভাবেই পারছি না। কারন রাস্তা দখল করে পাতি, ছাউনি, ভেন দিয়ে রাস্তার ৩ ভাগের ১ ভাগ দখল করে বসে আছে।
বাস থেকে নেমে খিলক্ষেত ওভার ব্রীজ পার হওয়া থেকে শুরু করে রেল লাইন পার হয়ে রাস্তায় হাটতে গেলে মনে হয় আমরা এখন নিউ মার্কেট নীলক্ষেত এলাকায় আছি। এতো মানুষ এখানে থাকে তার উপর আবার ফুটপাত দখল করে বসে থাকে মনে হয় এই এলাকার মানুষ কোন কঠিন অপরাধ করেছে তাই তাদেরকে এভাবে ইচ্ছে করে নিদারুণ শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
এবার আসি অটো ও অটো রিক্সা নিয়ে কিছু কথা। খিলক্ষেতে আগে অটো ও অটো রিক্সা মিলে আনুমানিক ১ হাজার ছিল এখন সেটা প্রায় ২ হাজার হবে। এদের জন্য প্রায় বেশির ভাগ সময়ই রাস্তায় জ্যাম লেগে থাকে। কারন এরা যেখানে খুশি সেখানেই প্যাসেঞ্জারের জন্য দাড়িয়ে যায় ও দাড়িয়ে থাকে।
তারপর আসেন এই যে অটো রিক্সা গুলো, এগুলো যখন রাস্তায় চলে মনে হয় রাস্তায় হেলিকপ্টার চলছে। এরা এতো জোরে চলে প্রতিদিন প্রচুর এক্সিডেন্ট হয় এই বেটারি চালিত রিক্সা গুলোর জন্য। অটো গুলোর জন্য আলাদা রাস্তা থাকা উচিত। রাস্তা যখন খারাপ ছিল তখন মাতবরের মসজীদের ঐ রোড টা ব্যবহার করে মোহাম্মদী হয়ে বটতলা দিয়ে বেড়িয়ে যেতো। তাই অটোর জন্য যদি এই রোড টা পার্মানেন্ট করে দেয়া যায় তাহলে জ্যামটা অনেক কমে যাবে বলে আমি মনে করি।
এই যে আমরা এই সকল অন্যায় চোঁখে দেখেও না দেখার ভান করছি এটা কি অন্যায় দূর্নীতি নয়? এই যে ভ্যান নিয়ে রাস্তা দখল করে জামা, তরকারি আর ফল বিক্রি করা এবং ফুটপাত দখল করে বিজনেস করা এটা কি অন্যায় নয়?
আমি বুঝি না মানুষের বিবেক কিভাবে এতো লোপ পায়? আমাদের কি একটুও বুক কাপে না মানুষের এই কষ্ট দেখে? নির্বিকার বিবেক দিশেহারা মানুষ।😭
আমাদের খিলক্ষেতের জনগণের জন্য ২ জন কমিশনার, ১ জন মেয়র ও একজন এমপি রয়েছে, তাদের কাছে আমরা খিলক্ষেতবাসি জানতে চাই এগুলো কবে বন্ধ হবে? আমরা পরিবেশ বান্ধব ফুটপাত দখল মুক্ত রাস্তা চাই। আমরা চাই নির্ভিগ্নে হেটে চলা ফেরা করতে। আমরা জানি আপনারা চাইলে এই সমস্যা গুলোর চিরতরে সমাধান করতে পারবেন। তাই দয়াকরে এই সমস্যা গুলো দ্রুত সমাধান করেন তাহলে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকিব।
Copy by
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার