সম্প্রীতি অর্পন বাংলাদেশ, সোনারগাঁ থানার যুগ্ম আহ্বায়ক ও সোনারগাঁ থানা ছাত্রদল কর্মী আবুল হাসনাত সকালবিডি ২৪ ডটকম এর সাথে গতকাল রাতে মুঠোফোনে আলাপচারিতায় অংশ নেন।
আলাপচারীতায় তার ব্যক্ত করা কথাগুলো তুলে ধরা হলো,
বিস্তারিতঃ
রাজনীতির শুরুটা হয়েছিলো হিমেল ভাইয়ের হাত ধরে ।
এরপর রাজনৈতিকভাবে পেয়েছি অনেক ভাইকেই ।
প্রত্যেকটা রাজনৈতিকভাবে পাওয়া ভাইকেই নিজের আপন ভাইয়ের চাইতেও বেশী আপন ভেবেছি ।
দলের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি তা জানি না , তবে চেষ্টা করে গেছি প্রানপন ।
যে কোনো সময় দেশে থাকা অবস্থায় ছুটে গিয়েছি দলের প্রতিটা প্রোগ্রামে , নিজ পকেট থেকে টাকা খরচ করতে কার্পন্য করি নি কখনো । মন থেকে প্রতিটা ভাইকে সম্মান করেছি যতটা করা সম্ভব ।
নিজের কষ্টার্জিত অর্থ থেকে সাংবাদিকদের খরচপাতি দিয়ে কত যে নিউজ করিয়েছি তা বলা বাহুল্য ।
মনের মনিকোঠায়ও রেখেছিলাম একজনকে ।
তিনি জেলে থাকা অবস্থায় নিজের ঘাম ঝড়ানো টাকা দিয়ে পোস্টার করিয়ে এলাকায় এলাকায় সেটেছি । পাগলের মতো ভালোবেসেছিলাম তাকে । অনেক শ্রদ্ধা করেছি ।
৩ বছর রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছিলাম তার পেছনেই ,
এরপর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারনেই প্রবাস জীবনকে বরণ করলাম ।
কিন্তু রাজনীতি থেকে দুরে সরে যাইনি সামান্যতম সময়ের জন্যও ।
প্রতিটা প্রোগ্রাম ও দলের প্রতিটা কার্যক্রমকে ঘিরে এই প্রবাসে থেকেও যতটা সম্ভব কাজ করে গেছি ।
কখনো প্রতিদানে কিছুই চাইনি ।
বিদেশে বসেও কর্মী তৈরী করেছি , থেমে থাকি নি কখনো ।
নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে ব্যানার বানিয়ে তা লোক দিয়ে সোনারগায়ের এলাকায় এলাকায় লাগিয়েছিলাম ।
কখনো তাকে অসম্মান করি নি ।
নিজের জন্য কিছুই চাই নি উনার কাছে ।
অথচ উনি এর প্রতিদানে উপকারের বদলে আরো ক্ষতি করে দিলো ।
নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বুঝিয়ে দিলো যে , স্বার্থই সব , ভালোবাসা স্বার্থের কাছে অতি নগন্য ।
তার উদ্দেশ্যে শুধু এতটুকুই আজ বলবো ,
যার হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি , আপনি তাকেও মূল্যয়ন দেন নি বরং আরো তার ক্ষতি করেছেন ,
আপনার নিজের ভেতরের লুকিয়ে থাকা পশুটাকে জাগ্রত করে আমাদের সামনে তা উন্মোচিত করে দেখালেন ।
অথচ আমাদের মতো কর্মী না থাকলে আপনার মতো নেতার ৪ আনা দামও নাই এটা ভূলে গেলেন ।
জাস্ট এতটুকু মনে রাইখেন যে ,
আপনার আজকে এতদূর আসার পেছনে আমাদের মতো এই ছোট ছোট অতি নগন্য মানুষদের অবদানই সর্বমূলে ।
আমাদের মতো এই নগন্য কর্মীদের জন্যই আজ আপনারা নেতা বলে পরিচিত । আর আমরা তৃনমূলই উপেক্ষিত।