সু-প্রভাত বাসের চাপায় আবরার আহমেদ চৌধুরী নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক গেট এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করছে শিক্ষার্থীরা। অবরোধ নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওই বিক্ষোভের মধ্যেই একটি বাসে আগুন দেওয়ার সময় এক বাসচালককে হাতেনাতে ধরে মারধর করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেই চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে পুলিশে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বসুন্ধরা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৭টার দিক থেকেই শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, সকাল থেকেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। সকালের দিকে কিছু বাস এই এলাকা দিয়ে চলাচল করতে চাইলে তারা সেগুলোকে রাস্তায় আটকে দেন। বাসগুলো সেখানেই রাখা আছে। এর মধ্যে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দাঁড়িয়ে থাকা ওই বাসগুলোর মধ্যে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগতে দেখা যায়।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরাই বাসে আগুন দিয়েছেন বলে মনে করা হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই এক ব্যক্তিকে শিক্ষার্থীরা ধরে ফেলে। এসময় তাকে মারধর করা হচ্ছিল।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ওই লোক একটি বাসের চালক। সে বাসে আগুন দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো বাসে কোনো ধরনের ভাঙচুরও করা হয়নি। পরে শিক্ষার্থীদেরই ওই বাসের আগুন নেভাতে দেখা যায়।
বিইউপি শিক্ষার্থী হুমায়ুন আহমেদ রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কোনো শিক্ষার্থী বাসে আগুন দেয়নি। কোনো এক গাড়ির চালক বাসটিতে আগুন দেয়। পরে আমরা সেই চালককে ধরতে সক্ষম হই। কিন্তু তিনি পালিয়ে যান।
এর আগে বেলা ১১টার কিছু পরে ঘটনাস্থলে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বাসচালকের শাস্তি নিশ্চিত করা ও নিহত শিক্ষার্থীর নামে সেখানে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। তবে মেয়রের এই আশ্বাসে সাড়া দেননি অবরোধকারীরা।
আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাত পরিবহন নামের একটি বাসের চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত শিক্ষার্থীর নাম আবরার আহমেদ চৌধুরী (২০)। তাঁর বাবা আরিফ আহমেদ চৌধুরী। আবরার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার