পরাধীন পাখির আত্বক্ষোভ
এস.এম.জুবায়েদ ইবনে সাঈদ
রাত্রিবেলার শেষ ঝড়ে পাখিটি আজ মৃত্যুর সাথে লড়াই করে নিভু নিভু প্রানে বেঁচে আছে।পাখিটারও স্বপ্ন ছিলো উড়ার, সাধ ছিলো বেঁচে থাকার কিন্তু হঠাৎ কোনো এক বেদিশা ঝড়ে,উড়িয়ে নিলো তারে।
পৃথিবীর নীল আকাশটুকু দেখবার ভাগ্য তার নেই, সেজন্যই সবুজ ঘাসে ঠাই হলো।হয়তো আর কিছুক্ষন বাঁচবে,কিছুক্ষন তাকিয়ে রবে নীল আকাশের পানে।বড়জোর পৃথিবী থেকে দু এক ফুটা নিশ্বাস নিবে। আর এইভাবেই নিশ্চিত সমাপ্তি হবে তার জীবনের।অতঃপর,
আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠবার পর, কেউ একজন আমার হাত ধরে পাখিটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।পরিচয়ে আমি শিহরিত,নুয়ে পড়ছে তার গা।এর কারনটা অসুস্থতা নয়; ক্ষুধার যন্ত্রনা।পাখিটি কিছুই খায়নি অনেক্ষণ। অচেনা এই পাখির খাবার কি হবে আমার জানা ছিলো না।যদি এই পাখিটি টিয়ে, ময়না,বাবুই হতো তবে নিঃসন্দেহ কিছু খাওয়ানো যেতো।খাওয়াবার স্বাদ জেগেছিলো মনে।তবে সে আর হয়ে উঠেনি,বুজতে পারিনি কি খেলে বাঁচবে পাখিটি!আমি তো আর পাখি বিশেষজ্ঞ নই কিংবা পশু পাখির ডাক্তার।তবে একজন অকৃত্রিম প্রকৃতি প্রেমি।কিন্তু দুঃখের সহিত জানাতে হচ্ছে, আমি ব্যর্থ,এই ব্যর্থতার দায় আমার। পাখিটি আজ এখন মৃত, বড় কষ্ট হচ্ছে।অপরাদবোধ করছি।মনে হচ্ছে আমি পাখির খুনি। এভাবেই শত শত পাখি খুন হচ্ছে মানবিকতার একটু অবহেলায়। পাখিটিরও ইচ্ছে ছিলো দিগন্তে ডানা মেলে উঁড়ে বেড়াতে,তার জীবণটাকে সুন্দর করে সাজাতে।কিন্তু নাহ্ সে এখন বেওয়ারিশভাবে কাতরে মরছে।তার মস্থিস্কের হেঠেচলা এখন মৃত্যুর মুখামুখি,পৃথিবীর উল্টোদিকে।
কিছুই করার নেই করো।মুখ খুলবার অধিকার নেই।মুখ খুললেই দেশদ্রোহী, অন্যায়কারী!! ঘাটনাটি মানুষের জীবন জীবিকায় প্রযোজ্য..