নিজস্ব রিপোর্টার
মাদক ‘আইস’ বহন করায় খিলক্ষেতে নাইজেরীয় আটক
নতুন ধরনের মাদক আইস (ক্রিস্টাল মিথাইল এমফিটামিন) বহন করায় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আজাহ অ্যানাওচুকওয়া ওনিয়ানুসি নামে এক নাইজেরীয় নাগরিককে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়েছে। পরে ভাটারা এলাকার আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪৭২ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা শাখা) মোসাদ্দেক হোসেন রেজা।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাইজেরীয় ড্রাগ ডিলার আজাহ অ্যানাওচুকওয়ার ‘আইস’ ব্যবসার কথা জানা যায়।
‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদক কেনার ফাঁদ পেতে হোটেল লা মেরিডিয়ানের পাশ থেকে ৫০ গ্রাম আইসসহ তাকে আটক করা হয়। পরে ভাটারা এলাকার বাসা থেকে আরো ৪৭২ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়।’
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে উগান্ডা থেকে আইসের চালানটি ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় আসে।
‘নাইজেরিয়ায় অবস্থানকারী আজাহ অ্যানাওচুকওয়া ওনিয়ানুসির বাবা ও মা অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি তার মা মারা যাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার চেষ্টায় ছিলেন। সেজন্য তার কাছে থাকা আইস বিক্রির চেষ্টা করে আসছিলেন তিনি।’
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তিনি শিক্ষার্থী ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। গত দুই বছর ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এক পর্যায়ে গার্মেন্ট ব্যবসার জন্য তিনি ব্যাংকক, মালয়েশিয়া, ভারত, উগান্ডা, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর যাতায়াত করেছেন। এ ব্যবসাকে সামনে দেখিয়ে আড়ালে তিনি আসলে আইসের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
আইসের ভয়াবহতা সম্পর্কে অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক রেজা বলেন, আইস ইয়াবার চেয়ে কমপক্ষে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী। একবার আইস সেবন শুরু করলে এ মাদকে নির্ভরতা চলে আসে। ইয়াবার চেয়ে দামও বেশি আইসের।
মালয়েশিয়ায় আইস একগ্রামের দাম ৭ হাজার রিংগিত। বাংলাদেশে এ মাদকের বাজার ধরার জন্য তা কম দামে অর্থাৎ প্রতি গ্রাম ৭ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। এই মাদকের ভয়াবহতা বেশি, মৃত্যুঝুঁকি ইয়াবার চেয়েও বেশি।
নতুন ধরনের মাদক আইস (ক্রিস্টাল মিথাইল এমফিটামিন) বহন করায় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আজাহ অ্যানাওচুকওয়া ওনিয়ানুসি নামে এক নাইজেরীয় নাগরিককে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়েছে। পরে ভাটারা এলাকার আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪৭২ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা শাখা) মোসাদ্দেক হোসেন রেজা।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাইজেরীয় ড্রাগ ডিলার আজাহ অ্যানাওচুকওয়ার ‘আইস’ ব্যবসার কথা জানা যায়।
‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদক কেনার ফাঁদ পেতে হোটেল লা মেরিডিয়ানের পাশ থেকে ৫০ গ্রাম আইসসহ তাকে আটক করা হয়। পরে ভাটারা এলাকার বাসা থেকে আরো ৪৭২ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়।’
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে উগান্ডা থেকে আইসের চালানটি ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় আসে।
‘নাইজেরিয়ায় অবস্থানকারী আজাহ অ্যানাওচুকওয়া ওনিয়ানুসির বাবা ও মা অসুস্থ ছিলেন। সম্প্রতি তার মা মারা যাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার চেষ্টায় ছিলেন। সেজন্য তার কাছে থাকা আইস বিক্রির চেষ্টা করে আসছিলেন তিনি।’
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তিনি শিক্ষার্থী ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। গত দুই বছর ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এক পর্যায়ে গার্মেন্ট ব্যবসার জন্য তিনি ব্যাংকক, মালয়েশিয়া, ভারত, উগান্ডা, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর যাতায়াত করেছেন। এ ব্যবসাকে সামনে দেখিয়ে আড়ালে তিনি আসলে আইসের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
আইসের ভয়াবহতা সম্পর্কে অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক রেজা বলেন, আইস ইয়াবার চেয়ে কমপক্ষে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী। একবার আইস সেবন শুরু করলে এ মাদকে নির্ভরতা চলে আসে। ইয়াবার চেয়ে দামও বেশি আইসের।
মালয়েশিয়ায় আইস একগ্রামের দাম ৭ হাজার রিংগিত। বাংলাদেশে এ মাদকের বাজার ধরার জন্য তা কম দামে অর্থাৎ প্রতি গ্রাম ৭ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। এই মাদকের ভয়াবহতা বেশি, মৃত্যুঝুঁকি ইয়াবার চেয়েও বেশি।
যুগান্তর রিপোর্ট
২৮ জুন ২০১৯, ১৮:০৩ | অনলাইন সংস্করণ