মতলবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৎ ভাইকে ব্যাপক মারধর
মতলব উত্তর ::
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৎ ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়েছে আরেক ভাই ও বোন। এসময় মো. মুক্তার হোসেনের (৫০) মাথায় তার সৎ বোন শিমুলী আক্তার ইট দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়।
বুধবার (১২ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মুক্তার তার পিতা জাহাঙ্গীর আলম বেপারীর ঘরের সামনে তালের শাস রাখে। কেন সে এগুলো দরজার কাছে রাখল তা নিয়ে প্রথমে বাবার সাথে মুক্তারের কথা কাটা-কাটি হয়। তারপর সৎ ভাই মমিনের সাথে তর্ক হওয়ার এক পর্যায়ে দুই ভাই গলায় গলায় লেগে যায়। এরমধ্যে বোন শিমুলী এসে মুক্তারকে ইট দিয়ে মাথায় জোড়ে আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই লুঠে পড়ে যায়। এতে তার ব্যাপক রক্তপাত হয়।
আহত মুক্তার বলেন, আমার মা মৃত্যুবরণ করার পর বাবা আরেক বিয়ে করেন। আগের সংসারে আমার আর কোন ভাই বোন নেই। আমি আমার ফুফুর কাছ থেকে ১৫ শতাংশ ও জেঠার কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি দলিলমূলে কিনেছি। ওই জমি থেকে আমার সৎ ভাই মমিনকে ৯ শতাংশ জমি ছোট ভাই হিসেবে আদর করে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু বাকী ১৪ শতাংশ জমির দলিলপত্র ও আমার পাসপোর্টটি আমার বাবা তার কাছে আটকে রেখেছে বহুদিন যাবৎ। সে দলিল আটকে রেখে আমার কিনা সম্পত্তি জবরদখল করতে চায়। দলিল ও পাসপোর্ট ফেরত চাইলেই তারা আমার সাথে ঝগড়া করে এবং আমাকে হত্যা করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। সর্বশেষ ঘটনারদিন সকালে তালের শাস নিয়ে ঝগড়া করে আমার আমার উপর তারা হামলা করে।
এদিকে তাদের প্রতিবেশীরা জানায়, জাহাঙ্গীর আলম নিজেই নিজের হাত কেটে নিজেকে আহত দেখিয়ে একটি ঘটনা সাজিয়েছে এবং মুক্তারকে ফাঁসাতে চেষ্টা করছে। তিনি এধরনের এহেন কর্মকান্ড এর আগেও বহুবার করেছেন। তাই এলাকার লোকজন তাদের কোন ব্যাপারে এগিয়ে আসেন না। তবে মুক্তারের সৎ ছোট ভাই মমিন জানিয়েছেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে দ্রুত মুক্তারের দলিলপত্র ও পাসপোর্ট বুঝিয়ে দিবেন ও যেসব সমস্যা আছে এগুলো নিরসন করবেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার