নিজস্ব রিপোর্টার
মন্ত্রিসভার আকার বৃদ্ধি বা রদবদল হচ্ছে বলে গুঞ্জনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো তথ্য আসেনি। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান। মন্ত্রিসভার দাফতরিক দায়িত্ব পালন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শফিউল আলম সহাস্যে বলেন, ‘না, আমার পর্যায়ে আসেনি, আসলে তো আপনারা টের পাবেন।’
শিগগিরই মন্ত্রিসভার আকার বাড়বে এবং মন্ত্রিসভার কারো কারো দফতর বদল হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। কিছু সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ৪৬ সদস্যের ওই মন্ত্রিসভায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছয় মন্ত্রণালয় রাখা হয়।
মন্ত্রিসভা গঠনের প্রায় সাড়ে চার মাসের মাথায় গত ১৯ মে তা পুনর্বিন্যাস করা হয়। ওইদিন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এ ছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে একই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী করা হয় তাজুল ইসলামকে। তাজুল ইসলামকে আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও স্বপন ভট্টাচার্যকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। একই মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান স্বপন ভট্টাচার্য।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার