কিডনি বিকল রোগীদের সপ্তাহে সাধারণত দু'বার ডায়ালাইসিস করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে ভয়াবহ মাত্রায় সপ্তাহে তিনবার করা হয় বলে জানান তারা। চিকিৎসকরা বলছেন, অতি মুনাফার লোভেই আইসিইউ আর ডায়ালাইসিস বাণিজ্য করছে নগরীর কিছু প্রতিষ্ঠান। এসব বাণিজ্য বন্ধে ব্রেইন ডেথ সার্টিফিকেট চালু বাধ্যতামূলক করাসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি।
পাঁচ বছর আগের এক পরিসংখ্যান বলছে দেশে কিডনীর কোন না কোন সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটির মত। যার মধ্যে কিডনী বিকল রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। ব্যয়বহুল চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ আছে মাত্র ২৫ শতাংশ রোগীর।
কিডনি বিকল রোগীদের জন্য অপরিহার্য চিকিৎসা ডায়ালাইসিস। ডায়ালাইসিস দিনে কিংবা সপ্তাহে কতবার দেয়ার যায় তা রোগী কিংবা তার স্বজনদের জানার সুযোগ থাকেনা। সম্প্রতি রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে ২০ দিনে ২৩ বার ডায়ালাইসিসে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে রক্ত থেকে বর্জ্য ছাঁকার কৃত্রিম যন্ত্র ডায়ালাইজের ব্যবহারের সর্বোচ্চ মাত্রা কত।
রাজধানী কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হারুন অর রশীদ বলেন, যখন কিডনি ফাংশন মাত্র দশ ভাগ সচল থাকে তখন ডায়ালাইসিস করানোর প্রয়োজন হয়। কোয়ালিটি ডায়ালাইসিস সপ্তাহে তিনবার করালেই হয়।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. নুরুল হুদা লেনিন বলেন, কিছু বায়োকেমিকেল প্যারামিটার দেখে বোঝা যায় সপ্তাহে দু'বার ডায়ালাইসিস করলেও তা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করালেই হয়ে যায়।
আইসিউতে থাকা অতি সংকটাপন্ন রোগীর ডায়ালাইসিস করানো যায় না বলে জানিয়েছেন এই দুই চিকিৎসক। অতি মুনাফার লোভে মৃত ব্যক্তিকে বিশেষ পরিচর্যার কথা বলে হাসপাতালে রাখার সমালোচনা করেন তারা।
ডা. মো. নুরুল হুদা লেনিন বলেন, এটা একটা মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে আমার মনে হয়।
এমন অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে ব্রেইন ডেথ সার্টিফিকেট চালু করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার