নিজস্ব প্রতিবেদক:
বন্দরে এমপির মায়ের নামে নির্মিত স্কুল নিয়ে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র
বন্দরে মদনপুর ইউনিয়নের বাগদোবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে চলছে কুচক্রি মহলের প্রচারনা ও গভীর ষড়যন্ত্র।
সরেজমিনে জানা যায়, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যেখানে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ কে এম সেলিম ওসমান ব্যক্তিগত অর্থায়নে শিক্ষার মান বাড়াতে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে যাচ্ছেন। সেখানে সমাজের এক শ্রেনীর ক্ষমতালোভী কুচক্রি মহল বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে পড়ছে। মাননীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এলাকার সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও মাদকের করাল গ্রাস থেকে শিশুদের রক্ষার্থে মায়ের নামে নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। শুরু থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান চারিদিকে ছড়িয়ে পরছে। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সুদৃষ্টি আর শিক্ষকদের কঠোর শিক্ষাদানের মাঝে জে এস সি ও এস এস সি পরীক্ষায় সফলতার সাথে শতভাগ সাফল্যতা অর্জন করে। শিক্ষার্থী ভর্তির উপস্থিতির সংখ্যাও অধিক। কমিটির সকল সদস্যর সর্বাধিক পরিশ্রম ও লেখাপড়ার নজরদারীতে তিল তিল করে সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছে নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়টি। কিন্তু সমাজের একশ্রেনীর কুচিক্রী মহল ক্ষমতার লোভে বশবর্তী হয়ে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে লাগছে। তাদের হীন মনোভাব কিভাবে বিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট করে বর্তমান কমিটির সদস্যদের সরিয়ে নিজেদের হাতে দায়িত্ব নেয়া যায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩-০৭-২০১৯ইং হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে বহিরাগত কিছু ছেলেদের নিয়ে ইংরেজী শিক্ষক আল- আমিনকে জড়িয়ে মানব বন্ধনের নামে কুৎসা রটায়। সেই সাথে বিদ্যালয়ের দেয়ালে সাইনবোর্ড লাগানো নাগিনা জোহার উচ্চ বিদ্যালয় লিখা ছবি তুলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার করে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাপ হোসেন ভূইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছি। কোথাও কোন অনিয়ম দেখা দিলে আমরা সাথে সাথে তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া কোন শিক্ষক যদি এমন কোন অপরাধ করে থাকে সাথে সাথে তাকে বহিষ্কার কিংবা বিদায় করে দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে ইউ এন ও মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তে যথাযত ব্যবস্থা নিবেন।
প্রধান শিক্ষক বদিউল আলন বলেন, ইংরেজী শিক্ষক আল-আমিনের ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠছে তা কিঞ্চিৎ সত্যি তবে উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে কিছু ছাত্র যা করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ন কথা তা আমার কানে আসেনি।
কমিটির আরেক সদস্য হাবিবুর রহমান জানান শিক্ষককে নিয়ে যারা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা সমাজ ও বিদ্যালয়ের ভালো চায়না। তাছাড়া এ ব্যাপারে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সম্পূর্ন খতিয়ে দেখব। যদি কোন শিক্ষক অন্যায় কাজে জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। তিনি আরো বলেন এমপি সেলিম ওসমানের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে যারাই কুৎসা রটিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে তাদের নোংরা উদ্দেশ্য কখনো সার্থক হবেনা।
এছাড়া শিক্ষক শিক্ষার্থীর নামে যারা ফেইসবুক কিংবা অনলাইনে অপপ্রচার চালিয়েছে তারা কারো কাছ থেকেও কোন সমর্থন পায়নি। বরং ফেইসবুকে তাদের বিরুদ্ধে কেউ জুতা কেউ পিছা আবার কেহ গরু মার্কা ক্ষমতা লোভী হিসেবে আক্ষায়িত করছে। তবে শিক্ষক আল- আমিন বলেন আমি ছাত্র জীবন থেকে ছেলে মেয়েদের শিক্ষা দিয়ে আসছি। কখনো এমন কোন আচরন করিনি যে আমার শিক্ষকতার পেশায় কলংকের দাগ লাগবে। কিছু অসাধু কুচক্রি মহল নিজেদের ক্ষমতা লোভে আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে মাননীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমান যেন দোষীদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করেন। সে দাবী জানান।।