অবশেষে বাজারে এলো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আইফোন ইলেভেন মডেলের মুঠোফোন। অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্রাহকরা শুক্রবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করেন তাদের পছন্দের মুঠোফোনটি। তিন লেন্সবিশিষ্ট নতুন মডেলের ফোনগুলোতে ক্যামেরার দিকে গুরুত্ব দেয়া হলেও পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি সেবাসমুহ না থাকায় চীনে অ্যাপল তার বাজার হারাতে পারে বলে মনে করছেন সেখানকার আইফোনপ্রেমীরা।
আইফোনের নতুন মডেলের ফোন পেতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অ্যাপল স্টোরের সামনে মধ্যরাত থেকে অপেক্ষা করেন বহু মানুষ। প্রতি বছর বিশ্বের যেসব শহরের অ্যাপল স্টোরে প্রথম আইফোন পাওয়া যায় তার মধ্যে সিডনি অন্যতম একটি। আর তাই দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাঙ্খিত ফোন হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যাপলপ্রেমীরা।
আইফোন ইলেভেন, আইফোন ইলেভেন প্রো এবং আইফোন ইলেভেন প্রো ম্যাক্স। গত ১০ সেপ্টেম্বর তিন লেন্সের ক্যামেরার স্মার্টফোনের উন্মোচন করে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। অ্যাপলের নতুন এই ফোনগুলোতে প্রসেসিং অর্থাৎ কাজ করার ক্ষমতা অনেক উন্নত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
পেশাদার আলোকচিত্রী ও ভিডিওগ্রাফারদের কথা বিবেচনা করেই নতুন এই ফোন বাজারে এনেছে অ্যাপল। তারা জানায়, ক্যামেরার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোর পরিমাণ ঠিক করে দেয়ার পাশাপাশি কম আলোতে ভালো ছবি তুলতে সক্ষম আইফোন ইলেভেনের মুঠোফোনগুলো।
নতুন আইফোনগুলো সমর্থন করবে ওয়াই-ফাই সিক্স। তবে পঞ্চম প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক ফাইভ জি না থাকায় হতাশ চীনের আইফোন প্রেমীরা। শুধু এই জন্যই চীনে অ্যাপল তার বাজার হারাতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।
চীনের এক আইফোন প্রেমী জানান, শুধু ইন্টারনেটের জন্য নয়, আরো অনেক প্রযুক্তি ব্যবহারে ফাইভ জি সমর্থন করে। তাই অ্যাপলের উচিত ফাইভ জি’র দিকে নজর দেয়া। নয়তো অ্যাপল তার বাজার হারাবে এটা নিশ্চিত। এ বছরের শেষ দিকে বেইজিংসহ সব জায়গায় ফাইভ জি প্রযুক্তির ফোনগুলো দখল করে নেবে। অ্যাপল যদি এটা বিবেচনা না করে তারা অবশ্যই পিছিয়ে পড়বে।
শুক্রবার থেকে বাজারে আসা আইফোন ইলেভেনের মূল্য শুরু ৬৯৯ ডলার। আইফোন ইলেভেন প্রো’র মূল্য ৯৯৯ ডলার। এছাড়া, আইফোন ইলেভেন প্রো ম্যাক্সে’র মূল্য শুরু এক হাজার ৯৯ ডলার থেকে।