বিশেষ প্রতিনিধি:
ইভটিজিং এর শিকার হয়ে রোকসানা আক্তার দৃষ্টি (১৪) নামের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই ছাত্রী তার নিজ বসতঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্ধ্যায় আকাশ ও সাব্বির নামের দুই কিশোরকে আটক করেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বহরী গ্রামের আব্দুল রশিদ বেপারীর মেয়ে রোকসানা আক্তার দৃষ্টি স্থানীয় বহরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়তো। অনেক দিন ধরে ওই ছাত্রীর দুই সহপাঠী আকাশ ও সাব্বির তাকে বিদ্যালয়ের আসা-যাওয়ার পথে এবং ক্লাস রুমে উত্যক্ত করতো। এই নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান তাদের ডেকে এনে শাসিয়ে দেন।
ছাত্রীর মা রোকেয়া বেগম বলেন, মেয়েকে উত্যক্ত করার বিষয়ে আমি (বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে আকাশ ও সাব্বিরের মা-বাবার কাছে নালিশ নিয়ে গেলে তারা কোন পাত্তা দেয়নি। বরং তারা তাদের ছেলেদের পক্ষে কথা শুনিয়ে দেন।
রোকেয়া বেগম আরো বলেন, ঘটনার দিন ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে গেলে সেখানেও তাকে আকাশ ও সাব্বির উত্যক্ত করে এবং ফাঁসি দিয়ে মরতে বলে। এতে রোকসানা আক্তার দৃষ্টি ক্ষোভ নিয়ে বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিকে ওই ছাত্রীর মা ঘরে ঢুকে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে ডাক চিৎকার দিলে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্বার করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুল ইসলাম, থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা বেগম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিন থানার ওসি বলেন, আত্মহত্যার ঘটনায় ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সহপাঠী আকাশ ও সাব্বিরকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।