- হলুদ ইয়াবা সহ কলাবাগান ক্রীড়াচক্র এর সভাপতি আটক
সকাল বিডি ২৪ ডটকমঃ
রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজন আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযানের সময় সাত প্যাকেট হলুদ রংঙের ই’য়াবা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এ যাবৎকালে এ ধরনের ই’য়াবা পাওয়া যায়নি। এ ই’য়াবায় কোনো প্রকার গন্ধ নেই। এ নতুন অবিষ্কার।
এছাড়া অভিযানে একটা বিদেশ পি’স্তুলসহ তিন রাউন্ড গু’লি পাওয়া গেছে। ক্যাসিনোতে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস উদ্ধার করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে অ’স্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হবে জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল।এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। সন্ধ্যার সোয়া ৭টার দিকে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অ’স্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রি’মান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ। শুক্রবার যুবলীগের অপর আলোচিত নেতা জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।
রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র্যাব। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র্যাব। এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে শামীমকে র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।
শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।