তাহের কক্সবাজারের উখিয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়ার হলুদিয়া পালংয়ের আব্দুর রহিম ওরফে রহিম উল্লাহর ছেলে। এহছান বান্দরবানের লামা থানার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শামুকছড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে এবং নগরের পাঁচলাইশ শুলকবহর এলাকার জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে টেরিবাজার এলাকার হোটেল আল ইমামের ৭১৯ নম্বর কক্ষে এসআই আবদুর রব, এএসআই মো. জয়নাল আবেদীন, মো. নাছের আহাম্মদ ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।
কাপড়ের ছোট ক্যারিয়ার ব্যাগে সাদা স্কচটেপ মোড়ানো ৭ বান্ডিলে ১০ প্যাকেট করে মোট ৭০ প্যাকেটে ১৪ হাজার পিস এ্যামফিটামিনযুক্ত গোলাপি রঙের ইয়াবা পাওয়া যায়। ২ কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের এসব ইয়াবার দাম প্রতিটি ৩০০ টাকা করে ৪২ লাখ টাকা। তাদের কাছে আবু তাহেরের নামে ইস্যু হওয়া একটি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং আল জামেয়া আল ইসলামিয়া, পটিয়ার আইডি কার্ড পাওয়া গেছে।
ওসি জানান, হোটেল কক্ষে আসামিদের কাছে ইয়াবা থাকার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করলে প্রথমে তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। একপর্যায়ে আবু তাহের কাপড়ের ব্যাগে ইয়াবা থাকার বিষয় স্বীকার করে। তারা পুলিশকে জানায়, ইয়াবাগুলো উখিয়া থেকে সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য হোটেল অবস্থান করছিলো।
তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার এহছান তাদের ছাত্র নয়। তাকে গত ঈদের পর পরেই মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার