শাওন আহমেদ জয়:
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজি বিষয় শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। যার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংরেজির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র লিখিত বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়। কিন্তু ইংরেজি বলার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয় না। ফলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিষয়ে অনেক কিছু জানা সত্ত্বেও ইংরেজিতে কথোপকথন করতে ব্যর্থ হয়। এবং এর প্রভাব পড়ে পরবর্তী চাকুরী জীবনে। শুধুমাত্র চাকুরে জীবন নয় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব রয়েছে। ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার কারণে অবশ্যই এটি আমাদের শেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর অল্প একটি অংশ ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল বা কলেজে পড়ালেখা করে। কিন্তু মোট শিক্ষার্থীর একটি বড় অংশ বাংলা মিডিয়ামে পড়ালেখা করে এবং তারা ইংরেজিতে কথোপকথনে দুর্বলতা বোধ করে। তাই শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ে কথোপকথনের দুর্বলতা দূর করার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ইংরেজিতে স্পোকেন বাধ্যতামূলক করা উচিত। এতে করে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে ইংরেজি শেখার পাশাপাশি ইংরেজিতে কথোপকথনেও দক্ষ হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ১০০ নম্বরের ইংরেজি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে ৬০ নম্বর গ্রামার এবং ৪০ নম্বর কম্পোজিশন অংশ থাকে। কৃষিশিক্ষা,গার্হস্থ্য বিজ্ঞান,পদার্থ বিজ্ঞান,রসায়ন,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে ২৫ নম্বর ব্যবহারিক বাধ্যতামূলক রয়েছে। তেমনি ইংরেজিতে ২৫ নম্বর স্পোকেন বাধ্যতামূলক করা উচিত।
বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের ইংরেজিতে কথোপকথন এর দুর্বলতা দূর করার জন্য বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে থাকেন। কিন্তু যদি শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ইংরেজি স্পোকেন বাধ্যতামূলক করা হয় তবে শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে কথোপকথন এর দুর্বলতা দূর করার জন্য অন্য কোথাও ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।