রিপোর্টার: তানজির আহম্মেদ সানি তপদার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি শুধু সরকার প্রধান হিসেবে নয়, একজন মা হিসেবেও বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করব। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ও ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, কিছু দুষ্টু রাজনীতিক আবরার হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের ঘটনাস্থলে আরও তাৎক্ষণিকভাবে যাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের ভাষ্যনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে বুয়েটে চলমান আন্দোলন নিয়ে ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে আমরা কঠোর। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারা জড়িত ছিল তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এ রকম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা কোনও সরকারের সময় নেওয়া হয়নি। আইন অনুযায়ী এই ঘটনার বিচার হবে।
বুয়েটে চলমান আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগকে ‘কিপ সাইলেন্ট’ থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছি না। ছাত্রলীগ বা সরকার অপরাধীদের পক্ষ নেয়নি। তাই ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ আন্দোলনটিকে রাজনৈতিক রং দিতে না পারে।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা তা করা হয়েছে। অস্ত্রবাজরা এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই। এসব যাদের ভালো লাগছে না তারা ক্যাম্পাসকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করতে পারে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।