রিপোর্টার :তানজির আহমেদ সানি তপদার
আগামী ১৬ নভেম্বর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন।
সম্মেলনকে সামনে রেখে ১/১১‘র পরীক্ষিত ও সংগঠনের ত্যাগী, মেধাবী এবং পরীক্ষিত নেতাদের কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্বে আনার ইচ্ছা পোষন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেক্ষেত্রে তৃনমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে এবারের সম্মেলনে প্রাধান্য দেয়া হবে ১/১১‘র পরীক্ষিত কর্মীদের।
সর্বশেষ ২০১২ সালের ১১ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার ও পঙ্কজ দেবনাথ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসনে।
আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পাশাপাশি ঘোষিত হয়েছে পাঁচাট অঙ্গ সংগঠনের তারিখও।
অন্যগুলোর মতোই স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ঘিরেও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে মূল দল ও অঙ্গসংগঠনটির হাইকমান্ড। সম্মেলন সফল করতে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন নেতারা।
সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। তৃণমূল, উপজেলা-জেলা, মহানগরসহ সর্বত্র কাউন্সিলের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্তদের তৎপরতা বেড়ে গেছে।
ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতাদের অফিস-বাসায় আনাগোনা বেড়েছে।
পদ প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের লড়াইয়ে অন্তত এক ডজনেরও বেশি নেতা রয়েছেন। তারা নিজেরাও চান সংগঠনের নেতৃত্বের দায়িত্ব যিনিই পান, তিনি যেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আর সাংগঠনিক দক্ষ হন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগর কমিটিতে শীর্ষ দুই পদ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আছেন- ১/১১ এর লড়াকু রাজপথের সৈনিক সংগঠনটির বর্তমান কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি চাঁদপুরের কৃতি সন্তান কাজী শহিদউল্লাহ লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু, বর্তমান কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ শাকিব বাদশা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চাঁদপুরের কামরুল হাসান রিপন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান রানা, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ আরও অনেকে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগ একটি সুসংগঠিত দল। ত্যাগী, মেধাবী এবং পরীক্ষিতরাই নেতৃত্বে আসবেন। কাউন্সিলরদের মতামত প্রাধান্য পাবে। ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব আনা হতে পারে। সব ধরনের প্র¯স্তুতি রাখা হচ্ছে। তবে সবকিছু হবে নেত্রীর পরামর্শে। তিনি যেভাবে পরামর্শ দেবেন, সে অনুসারে কমিটি হবে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কাজী শহিদউল্লাহ লিটন বলেন, ‘নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম। জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি বিভিন্ন সময়। তাই নেত্রী যদি মনে করেন, আগামী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে রাখবেন। তাহলে এই গুরু দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। দুঃসময়ে নেত্রীর নির্দেশক্রমে রাজপথে থেকে সব সময় আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। তাই তিনি ত্যাগীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন বলে বিশ্বাস করি