স্টাফ রিপোর্টার ঃ আশুলিয়ায় ধামসোনা ইউনিয়নে উনাইলে এলাকায় শুক্রবার সকালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আসলাম নামে এক জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হামলাকারী দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক কৃতরা হলেন- আশুলিয়ার উনাইল এলাকার আক্কেল আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস ও নাতি সোহেল। গুরুতর জখম আব্বাস উদ্দিন জানান, তাদের নিজেদের মালিকানাধীন জমির ওই ডোবায় এতদিন জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যেত স্থানীয় হানিফ, আব্দুল কুদ্দুস, নূর উদ্দিন, আলাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন। আজ সকালে তিনি ও তার শরীক নিজাম উদ্দিন, চাঁন মিয়া, আসলাম ও আব্দুল হাকিমসহ ১০-১২জন। এ সময় হানিফের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র, শাবল, লোহার পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর অতির্কত হামলা চালায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের কোপাতে থাকে হানিফ ও তার লোকজন।
তিনি আরো জানান, একপর্যায়ে নূর উদ্দিন তার দুই হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলেন ও অন্যরা রড দিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে বেধরক পেটাতে থাকে। এসময় আসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তার সাথে মাছ ধরতে ধাওয়া প্রায় ১০জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় হানিফ বাহিনী।
পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করে। স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, সকালে আব্বাস উদ্দিন ও তার শরীকরা নিজেদের মালিকানাধীন ডোবাতেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাবেক ইউপি মেম্বার হানিফ ও তার লোকজন তাদের মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে জখম করেছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, আশুলিয়ার উনাইল গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস ও তার ছেলে সোহেল নামে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক বাকী দোষীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।