জুয়েল তায়িফ:ঢাবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসব্যাপী শীতকালীন মৌসুমী পথনাটক প্রদর্শনী-২০১৯ শুরু হয়েছে। মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও সমাজের নানা অসঙ্গতি দুর করে মানুষের মাঝে মননশীলতা বৃদ্ধির লক্ষে এ পথনাটকের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীননতা চত্ত্বরে পথনাটকের ২৮তম আসরের উদ্ভোদন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ গিয়াস।
সভাপতিত্ব করেন পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা।
উদ্ভোদনী অনুষ্ঠানে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘পথনাটক দেশের নানা সংকটাপন্ন অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নব্বইয়ের স্বৈরাচারে পথনাটকের অনন্য ভূমিকা ছিল। স্বৈরাচার পতনের পর সবাই ভেবেছিল পথনাটকের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু না পথনাটকের প্রয়োজন সবসময় ছিলো, এখনো আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে পথনাটক কাজ করে যাবে এই প্রত্যাশা রাখি।’
গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘আমাদের দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও চিন্তার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। মৌসুমী পথনাটকের মাধ্যমে আমরা সমাজের মানুষের চিন্তার জাগরণ ঘটাতে চাই এবং মানুষের মননশীলতা বৃদ্ধি পাবে এই আশা রাখি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে চারটি নাট্যদল পথনাটক পরিবেশন করেন। তা হল- ইসতিয়াক হোসেনের নির্দেশনায় ও আরণ্যক নাট্যদলের পরিবেশনায় ‘জল ও জননীর গল্প’, শেখ ফিরোজ আহমেদ বাবুর নির্দেশনায় ভিশন থিয়েটারের পরিবেশনায় ‘প্রতিপক্ষ রচনা’, কাজল মজুমদারের নির্দেশনায় মৈত্রী থিয়েটারের পরিবেশনায় ‘ত্যাজ রচনা’ ও ইকরামুল হাসান শাকিলের রচনায় পদাতিক নাট্যসংসদের পরিবেশনায় ‘নুরু মিয়ার কিচ্ছা’।