নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
বাংলাদেশ নদী মাতৃকদেশ, এই দেশের অর্থনীতি সেই আদিকাল থেকেই নদীর ওপর ভর করেই চলে আসছে। কত বণিক এসেছে এই নদীর ওপর দিয়ে! এই নদী যেমন অর্থ দিয়েছে (নদী পথে মালামাল বানিজ্য করে, মৎস বিক্রি করে) , খাদ্য দিয়েছে (মাছ, শপলা)।
আবার এই নদীই কেড়ে নেয় কত মানুষকে। হয়তো নদীগুলোও প্রতিদান খুজে। তাই তো প্রতি বছর এই নদীর বুকে কত মা, মেয়ে, ছেলে, বাবা তলিয়ে যায় যাত্রা পথে। কেউ কেউ নদীতে ডুবে অসচেতনতার জন্য, বারতি যাত্রী নৌ যানে উঠার কারনেও নৌ যান ডুবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সিগনাল না মানার কারনেও।
স্মাইল মানে হাসি, হাসি শুধু ঠোটে নয় থাকতে হয় অন্তরে। আর সেই কথাটাকে লক্ষ্য করে আজ স্মাইলবাসীগন আমরা দুপুর থেক সন্ধ্যা অব্দি নারায়ণগঞ্জ এর নৌ পরিবহন এলাকায়, বন্দর লঞ্চ ঘাটে সচেতনতার হাসি ছড়াতে গিয়েছিলাম। নদী পথে যাওয়ার বেলায় অবশ্যই —
সচেতন হতে হবে,
বেশি নড়া চড়া করা যাবে না,
নদী পথে যাওয়ার দোয়া পড়তে হবে,
সিগনাল মানতে হবে,
বৈরী আবহাওয়ায় নৌ যান ছাড়া যাবে না, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লিফলেট বিতরণ হয়।
আমরা সেখানে মানুষের প্রচুর আনাগোনা দেখেছি। আজ আমাদের এই নৌ যানে নদী পারাপার কর্মসূচিকে সার্থক আমরা করিনি, আমাদের এই কর্মসূচি সন্তোষজনক করেছে ঘাটের পারাপার এর যাত্রীরা।
দ্বিতীয়ত,নদী পারাপারের ক্ষেত্রে নৌকায় কিংবা লঞ্চে যারা সাতার জানে না তাদের জন্য লাইফ জ্যাকেট কতটুকু জরুরী তা জানার জন্য ব্যানার টানাই এবং সেখানে ভ্রাম্যমান যাত্রীদের কাছ থেকে সাইন নেই। সাইন নিতে সাহায্য করেছে।
তৃতীয়ত আজকের ইভেন্ট সম্পর্কে নিজেরা মতামত দিয়েছি, ভালো মন্দ সবটা উঠে আসে সেখানে। আর আমাদের উপস্থিতি জমা করেছি।
তবে হ্যা আমরা যে খুব আন্তরিকতা এক নিমিষেই পেয়েছি তা নয়। লিফলেট হাতে হাতে নিয়ে ঘুরতে কে চায়? লিফকেট বিলি করে ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে।যখন লিফল্যাট বিলি করছিলাম অনেককে হাতে তুলে দেওয়ার পরেও নিচ্ছিলেন না, অনেকে বলছিলেন দরকার নেই, অনেকে নিচ্ছিলেন কিন্তু পড়ছিলেন না, আবার কেউ কেউ নিয়ে মিয়ে ঝালমুড়ি খেয়ে হাতটা মুছার টিস্যুর বিকল্প হিসেবেও কাজে লাগিয়েছে। আবার সবাই যে একরকম তা না কেউ কেউ পড়েছে। আবার কেউ চেয়ে নিয়েছে।
তারপর যখন সাক্ষর ব্যানারে সাক্ষর নেওয়ার পালা তখন তো আরো বেশি হেনস্তা হয়েছি, অনেকে বলছিল—
— কিসের সাইন?
— আমি দিমু না,
— আমি পড়ালেখাই পাড়ি না,
— বাড়িঘর লেইক্ষা নিবেন নি?
— টাকা দিবেন সাইন দিলে?
আসলে তারা উদ্দ্যেশ বুঝে নাই। আমরা তাদের এই আকাশ কুসুম ধারনা গুলোকে বদলাতে পেরেছি।অনেকে খুব স্বাদরে গ্রহন করেছে। স্টুডেন্টস, চাকুরীজীবি, লঞ্চ মালিক, শিক্ষক, গার্মেন্টস কর্মী, ছেলে মেয়েরা, আন্টিরা, আংকেলরা, আর একনন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। তারা সাধুবাদ নিয়েছেন৷ আমাদের।
আসলে স্মাইলে মানু্ষর ভালোবাসা পাবার জন্য কাজ করে আর তা সে পায়। কারন স্মাইল শুধুই একটি হাসির মন্ত্র।
রোজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০১৯ এ আমাদের এই নৌ যানে পারাপারের নিরাপত্তা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।