নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গতকাল তিথি তার ফেসবুক আইডিতে বুয়েট শিক্ষকদের নিয়ে লিখেন তা হুবহু তুলে ধরা হলঃ এই পর্যন্ত জীবনে বুয়েটের যত আন্দোলন দেখলাম খেয়াল করলাম সব আন্দোলনেরই কয়েকটা ধাপ আছে। প্রথম ধাপ স্টুডেন্টরা দাবি দাওয়া দেয়। দ্বিতীয় ধাপ অথরিটি বলে “সব দাবি মেনে নিয়েছি বাবারা, ক্লাসে আসো।কাজ চলছে।”এখন স্বাভাবিকত তৃতীয় ধাপ হওয়া উচিত উনারা আসলেই কাজগুলো করছেন।
এবার আসি বাস্তবতায় স্টুডেন্টদের এবার কিভাবে হেনস্তা করা যায় তৃতীয় ধাপ হচ্ছে তা। গত কয়েকদিনে হলগুলোতে একের পর এক নোটিশ আসছে। রাত ১১ টার পর ক্যাম্পাসে থাকা যাবে না,হলে বাইক রাখা যাবে না,রাতে নাকি গান বাজনাও করা যাবে না আরো কত কি।মিটিংয়ে টিচাররা ওপেনলি বলতেছেন আমরা রাজনৈতিক দল সরিয়ে উনাদের সর্বক্ষমতার অধিকারী করে দিচ্ছি। টিচারদের পাওয়ার কি তা আমরা এখন বুঝব।
খুব অবাক লাগে। কোথায় দুই পক্ষ এক হয়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াবো আর উনারা সাধারণ স্টুডেন্টদের কিভাবে জব্দ করা যায় তার ব্যবস্থায় আছেন। ডিএসডাব্লিউ স্যার একটা সত্যি কথা আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন সবার সামনে বলে ফেলেছিলেন,পলিটিক্যালদের পাওয়ার নাকি অথরিটির থেকে বেশি।কিন্তু উনারা এখনও ব্যাপারটা বুঝতেছেন না সাধারণ স্টুডেন্টরা একত্রিত হলে তাদের পাওয়ার তার থেকেও বেশি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার