স্টাফ রিপোর্টার: সাদা পোশাকি পুলিশ, দুই ছেলে আর ভাড়াটে মাস্তানদের নিজ কক্ষে বসিয়ে রেখে অফিস করলেন এসএটিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে তিনি সাঙ্গপাঙ্গসহ অফিসে আসেন। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত তার কক্ষেই ছিলেন তারা। এছাড়া সারাদিনই তার কক্ষে যাতায়াত করেছে বহিরাগতরা। সেইসঙ্গে বেশ কয়েকবার গুলশান থানার পুলিশও এসেছে তদন্তে। এরআগে বুধবার রাত পোনে ১০টার দিকে মাহমুদ আল ফয়সালকে অফিস থেকে বের করে দেন এসএটিভির সববিভাগের বিক্ষুব্ধ গণমাধ্যমকর্মীরা। শতাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরিচ্যুত করার চক্রান্ত এবং ১০ জনকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় অফিসের সবাই একজোট হয়ে তাকে বের দেয়। এনিয়ে পুরো অফিসজুড়ে আতংক আর উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসএটিভি কার্যালয়ে এসে হাজির হয় গুলশান থানার পুলিশ। তবে কোনো সহিংস ঘটনা না ঘটলেও মুহূর্তেই সারাদেশে ভাইরাল হয় হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সালকে অফিস থেকে গেটের বাইরে বের করে দেয়ার ঘটনা। তবে এখনও এসএটিভি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এবিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতাদের বৈঠকের কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত তাও হয়নি। এসএটিভির চাকরিচ্যুত এবং চাকরি হারানোর সম্ভব্য তালিকায় থাকা কর্মীরা এখনও নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে। পরিস্থিতি কোনদিকে গড়াচ্ছে তাও পরিস্কার নয়। মালিকপক্ষ দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ এবং নারীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত মাহমুদ আল ফয়সালকে এরআগে বের করে দিলেও এবার অনেকটা তার প্রতি সমর্থন দিয়ে রেখেছে বলে মনে করছে গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা বলছেন, মালিকপক্ষের সহানুভূতি না থাকলে তিনি কখনই অফিসে ঢুকতে পারতেন না। আর এতে আবারও সবার মাঝে ক্ষোভ দানা বাঁধছে- এই হেড অব নিউজের পরামর্শেই চলছে এসএটিভিতে গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাইয়ের ষড়যন্ত্র। তাই তার কদর এখনও এসএটিভি কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে।