স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়কারী খুচরা ও পাইকারি বাজারে ভিড় বেড়ে যায়। এমন সুযোগে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী কয়েক গুণ বেশি দামে লবণ বিক্রি শুরু করেন। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকার লবণ ৪০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রির ঘটনাও ঘটে।
এমন খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিকালের দিকে মাঠে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ। অভিযানে সহযোগিতা করেন এসআই আকরাম আসওয়াদ এর নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
এসময় আশুলিয়ার বাইপাইল কাঁচা বাজার আড়দে ক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করায় মেসার্স শরীফ স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদন্ড, সবুজ বাণিজ্যালয় কে ২০ হাজার টাকা এবং মেসার্স ভাই ভাই স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আশুলিয়ার বাইপাইলের মেসার্স শরীফ স্টোরের পরিচালক জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রায় ৫০ কেজি লবণ বিক্রি করেছি। কেজিপ্রতি কত টাকায় বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে তিনি তা বলতে চাননি। বাইপাইলের বগাবাড়ি এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কেজিতে অতিরিক্ত ২০ টাকায় ৪ কেজি লবণ খুচরা দোকান থেকে কিনেছি। লবণের মূল্যবৃদ্ধির খবর কোথা থেকে পেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, লোকজন বলাবলি করছিল লবণের দাম বেড়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, আশুলিয়ার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজব ছড়ানো হয়েছিল। গুজব ঠেকাতে মাঠে নামেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার দায়ে ভোক্তা অধিকার আইনে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার