শুনতে অনেকটা অদ্ভুত লাগতে পারে। অদ্ভুত লাগারই তো কথা।
ধুমপানে কি আবার কোনো উপকার হয় নাকি?
তাজ্জব কথা!
ধুমপান মানেই হচ্ছে বিষপান, সেই বিষপান আবার উপকারী হয় কিভাবে নিজের জন্য?
হ্যা ধুমপান অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে সম্পূর্ণভাবেই প্রমাণিত এবং প্রায় আবাল-বৃদ্ধ-বণীতা সকলেই খুব ভালো করেই তা জানেন।
কিন্তু এই ধুমপান সম্পর্কে আজকে আপনাকে এমন কিছু অজানা তথ্য দেবো যেটি আপনার জন্য হবে উপকারী ও সুবিধার বিশেষ করে এই শীতে তো তা বটেই।
সাধারণত প্রতি শীতেই আমাদের অধিকাংশ লোকেরই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের তুলনায় আমাদের ঠোট ক্ষতিগ্রস্ত হয় অতি মাত্রায়।
শীতে প্রায়সময়ই আমাদের ঠোট শুষ্ক হয়ে পড়ে, যার ফলে শুকিয়ে গিয়ে সেখানে ঠোট ফাটা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ঠোট ফাটা হচ্ছে অতি যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা।
এ সমস্যা হলে ঠোটকে প্রশস্ত করা যায় না, এমনকি প্রাণ খুলে হাসাও যায় না।
কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে, একজন নিয়মিত ধুমপায়ী ব্যাক্তির ঠোট শীতে ঠোট ফাটার এই সমস্যা থেকে সবসময় থাকে মুক্ত।
যারা নিয়মিত ধুমপান করে থাকেন, তাদের ঠোটে শীতকালে এই শুষ্কতা স্পর্শ করতে পারে না, ফলে ঠোট শুকানোর অনুভূতি এবং ঠোট ফাটার ভয়ও থাকে না।
তাছাড়া শীতকালে ধুমপানের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, ধুমপানের ফলে দেহের ভেতর নিকোটিনের সাথে গরম ধোয়াও দেহে প্রবেশ করে, যার ফলে উষ্ণতা অনুভূত হয় ভেতরে।
তবে সর্বোপরী ধুমপান হচ্ছে একটি মরনব্যাধি ঘাতক। ধুমপানের কারনে ক্যান্সার, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট সহ আরো মারাত্মক রোগ হয়।
আমার এই লেখাটি নিছক বিনোদন হিসেবে নিতেই সবার প্রতি অনুরোধ করছি।
ধুমপান মৃত্যু ঘটায় ।