Mijan Bangala প্রতিবেদনঃ ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে যমুনায় নৌকাডুবির আলোচিত ঘটনায় ৭০ কিমি প্রচণ্ড স্রোতে ভেসে অলৌকিকভাবে বেঁচে পিতা-মাতার কাছে ফেরা ৬ বছরের শিশু প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী মমতা বিথি এবং ৮ বছরের নয়ন।
সেদিনের নৌকাডুবির ঘটনা মনে হলে চিৎকার দিয়ে উঠে কান্না শুরু করে। ওই রাতে দেওয়ানগঞ্জ চুকাইবাড়ি ফুটানী বাজারঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ভিজিএফের চাল এবং হাট-বাজার করে গ্রামের বাড়ি যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল হলকা হাবড়াবাড়ি ফেরার সময় রাত ৭টার দিকে নৌকাডুবি হয়।
নৌকায় নারী-শিশুসহ প্রায় ২৮ জন যাত্রী ছিল। এ ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার পর যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল সরেজমিন ঘুরে সাহসী সংগ্রামী দুই শিশুসহ তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
মমতা বিথিকে দেখতে গেলে ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না, মানুষ দেখলে কান্না করে উঠে, ঘর থেকে বের হতেও চায় না।
নৌকাডুবিতে কিভাবে বেঁচে আসে জিজ্ঞাসা করলে মমতা জানায়, ‘আইতের বেলা আন্দার নদীত বাতাস নাউ ডুবে গেলে কই যাইতাছি বুঝতেছিলাম না, সাঁতার জানি না, নদীর পানিতে কোনটা না ধইরা ভাইসা গেছি। মমতা দেওয়ানগঞ্জের চর হলকা হাবড়াবাড়ির প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কথা হয় পাশের বাড়ির ৮ বছরের শিশু নয়নের সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কিভাবে বেঁচে আছ? সে জানায়. ‘আন্দার আইত হোল্লা বাতাস নৌকাটা উণ্টা তলিয়া যায়, সারা রাত চিৎসাঁতার দিয়া সারা রাত ও পরের দিন পর্যন্ত নদীতে কাটাই। পরের দিন পাটাকাটা ব্যাটারা আমারে তুইলা নিয়া যায়’।
কথা বলার সময় বারবার কেঁপে উঠে কথাও ঠিকমত বলতে পারছিল না। ঘুমের মধ্যে প্রায়ই আঁতকে উঠে বলে জানান তাদের স্বজনরা।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার