আশিকুজ্জামান ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
শেরপুর টাউনের থানা মোড় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পৌরসভা কর্তৃক আরোহীসহ একটি ঘোড়ার প্রতিকৃতি স্থাপনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
গত বুধবার রাতে শেরপুর টাউনের চকবাজারে আওয়ামী লীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন মিনালের বাসায় ওই ঘোড়ার প্রতিকৃতি স্থাপনের প্রতিবাদে এক সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সদ্য স্থাপিত আরোহীসহ ঘোড়ার প্রতিকৃতিটিকে অশোভন আখ্যা দিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তা ভেঙ্গে ওই স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপনের জন্য আল্টিমেটাম দিয়ে পৌরসভার মেয়রের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দরা।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে শেরপুর জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, সাংবাদিক,জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বিভিন্ন স্তরের আওয়ামী লীগ নেতা ,জেলা কমিউনিস্ট পার্টিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষরা একত্মতা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পৌরসভা পক্ষ থেকে যে ঘোড়ার প্রতিকৃতি স্থাপন করেছে এটা সাম্রাজ্যবাদের প্রতীক। এই প্রতীক আমরা চাই না। বঙ্গবন্ধুর স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিই থাকবে অন্য কোনো প্রতীক আমরা সেখানে দেখতে চাই না।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তাপস সাহা বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে সড়কের মাঝখানে ঘোড়ার প্রতীক রেখে সড়কের এক কোনায় বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল করার যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তা আমরা মেনে নেব না।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জন্য সড়ক ও জনপথের সড়কের দক্ষিণ পাশে নির্ধারিত স্থান রয়েছে। এই জায়গাটি জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক ক্রয় করে রেখেছেন। সেখানে সরকারে অর্থায়নে ৩০লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের একটি ম্যূরাল হবে।
তিনি যোগ করেন, ওই স্থানে বিদ্রোহী নেতা টিপু শাহ বা তার পূর্বসূরি শের আলী গাজীর প্রতীক ভাস্কর্যটি সাংঘর্ষিক নয় বলে মনে করি। তারপরও এ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ও একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এবং আমাদের উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করব।